—ফাইল ছবি
লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার নানা ছবি উঠে এসেছে বারবার। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। কপর্দক শূন্য অবস্থায় ঘরে ফিরতেও দুর্ভোগ। সে দিকে নজর রেখেই এ বার পরিযায়ী শ্রমিকের সংজ্ঞা বদলের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রমিকদের আরও ব্যাপক ভাবে সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আনতেই সেই পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় ওই নয়া বিধি পেশ করতে চলেছে শ্রম মন্ত্রক।
৪১ বছর পর, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে নয়া বিধি আনার কথা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। এই পরিবর্তনের মূলে রয়েছে লকডাউনের সময়ে শ্রমিকদের দুর্ভোগের দৃশ্য। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই নয়া ওই বিধি আনতে উদ্যোগী শ্রম মন্ত্রক। তার আওতায় পড়বেন সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের লাখ লাখ শ্রমিক। শ্রমমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, প্রস্তাবিত ওই বিধিতে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে বিজেডি সাংসদ ভর্তুহরি মহতাবের নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটি। তবে তাতে আরও বদল আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
নয়া বিধিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কী কী সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে? শ্রম মন্ত্রক সূত্রে তারও ইঙ্গিত মিলেছে। অধ্যাদেশ জারি করে শ্রমিকদের জন্য মজুরির ঊর্ধ্বসীমা স্থির করে দেওয়া হতে পারে। শ্রমিকদের এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিউরেন্স (ইএসআইসি)-এর আওতাভুক্ত করা হতে পারে। পরিযায়ী শ্রমিকরা যে রাজ্যেই থাকুন না কেন সেখানেই যাতে সুবিধা পেতে পারেন, তারও সুযোগ থাকতে চলেছে। বছরে এক বার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ভাড়াও দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি স্থিতিশীল, আলোচনায় সমাধান সম্ভব, লাদাখ নিয়ে সুর নরম চিনের
শ্রম মন্ত্রকের মতে, বর্তমান আইন(আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইন ১৯৭৯)-এ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ওই ধরনের পদক্ষেপগুলি করা সম্ভব হচ্ছে না। তার কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা। এ ছাড়াও শ্রমিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যও অপ্রতুল। কোনও সংস্থায় পাঁচ জন অথবা তার বেশি অন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক থাকলে বর্তমান আইন প্রযোজ্য হয়। অনেকেই মনে করছেন, বহু শ্রমিকই বর্তমান আইনের আওতার বাইরে রয়ে গিয়েছেন। এঁদের সকলকে এক ছাতার তলায় আনতে শ্রম মন্ত্রকের পরিকল্পনা, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আনঅর্গানাইজড ওয়ার্কার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ইউ-ডব্লিউআইএন) দেওয়া হবে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের তথ্য হাতে পেতে ২০০৮ সালেই অবশ্য এই পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা বেশি দূর এগোয়নি। এ বার এর সঙ্গেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পেনশন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি জুড়ে দিতে চাইছে শ্রম মন্ত্রক। চলতি বছরের শেষেই নয়া আইন কার্যকর করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy