প্রতীকী ছবি।
কয়লা খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল গোয়ার চান্দের গ্রাম। কর্নাটকের বল্লারি থেকে এই পর্যন্ত যে রেললাইনটি রয়েছে, সম্ভাব্য প্রকল্পটির কয়লা পরিবহণের জন্য সেটি ডাবলিং করার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল রবিবার রাতে। হাজার মানুষ সারা রাত রেললাইন অবরোধ করে বসে থাকেন ভোর পর্যন্ত। তাঁদের হাতে পোস্টার আর ফেস্টুন। মুখে স্লোগান— গোয়ার মানুষ পরিবেশ ধ্বংস করে কয়লা খনি চায় না! আবার উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য সংরক্ষিত অভয়ারণ্যের প্রায় ১০ হাজার গাছ কেটে ফেলা রুখতে বিক্ষোভে শামিল হন বহু মানুষ।
বিরোধীদের অভিযোগ, বল্লারির ধনী খনি মাফিয়া ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কর্নাটক, গোয়া এবং কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রকাশ্য যোগ রয়েছে। তাদের সন্তুষ্ট করতেই দক্ষিণ গোয়ায় কয়লাখনির প্রকল্পটি শুরু করছে সরকার। হসপেট হয়ে কর্নাটকের বল্লারি পর্যন্ত রেলপথটি সম্প্রসারণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে কেবল মালগাড়িতে গোয়ার কয়লা কর্নাটকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই রেলপথ গিয়েছে সংরক্ষিত জঙ্গল ও পশ্চিমঘাটের পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে। রেলপথ ডাবলিং ছাড়া হাইটেনশন বিদ্যুতের লাইনও টানার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাজার হাজার বড় গাছ কাটা পড়বে এই কাজ করতে গিয়ে। সঙ্গে গোয়ায় কয়লা খনি থেকে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি তো রয়েছেই। কিন্তু উন্নয়নের নামে মানুষের বিরোধিতাকে উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি।
ঠিক ছিল রবিবার রাত থেকে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। সন্ধ্যা থেকেই বিক্ষোভের মঞ্চে পরিণত হয় চান্দেরের রেলস্টেশটি। হাজার হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। রেললাইনের ওপর বসে পড়েন তাঁরা। বসে থাকেন দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত। তাই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা এলেও কাজ শুরু করতে পারেননি।
মানুষের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস, মহারাষ্ট্র ফরওয়ার্ড পার্টি, আপ— সবাই রেলপথ সম্প্রসারণের বিরোধিতা করে জানিয়েছে, পরিবেশ ধ্বংস করে কয়লা প্রকল্পের কাজ মানা হবে না। রেল ও সড়ক সম্প্রসারণও খনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই করা হচ্ছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের থেকে বিজেপি কতটা বিচ্ছিন্ন এই সিদ্ধান্তেই তা স্পষ্ট। খনি ব্যবসায়ীদের কাছে বিকিয়ে গিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।
উত্তরাখণ্ডেও পরিবেশ ধ্বংস করে জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত রুষ্ট করেছে মানুষকে। চিপকো আন্দোলনের ধাঁচে সেখানে গাছ ও অরণ্য বাঁচানোর আন্দোলন তৈরি হয়েছে। তবে বিকল্প জমির বন্দোবস্ত করার ক্ষেত্রে রাজ্যের বিজেপি সরকারের গা-ছাড়া মনোভাবের বিরুদ্ধে রবিবার দেহরাদূনে বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy