এই প্যাকেটই বিলি করা হয় মন্দিরের অনুষ্ঠানে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের হরদই। স্থানীয় শ্রাবণাদেবী মন্দিরে গত কয়েক দিন ধরেই চলছে মেলা, পূজাপাঠ এবং আরও নানা অনুষ্ঠান। জড়ো হয়েছিলেন আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এ বারে পুরো অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নিতিন আগরওয়াল। তাই আড়ম্বরে কোনও ফাঁক ছিল না।
সেই আড়ম্বরই যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ হল সোমবার। দুপুরের দিকে মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবাইকে যার যার নিজের খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করে নিতে ঘোষণা করছিলেন বিধায়ক নিজেই। বিভিন্ন গ্রামের প্রধানরা নিজের নিজের গ্রামের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট খাবারের প্যাকেট সংগ্রহও করে ফেলেন। বিপত্তি তার পরই…
উপস্থিত ভক্তরা খাবারের প্যাকেট খুলতেই দেখতে পান, পুরি এবং সবজির সঙ্গে প্রতি প্যাকেটে সযত্নে রাখা আছে একটি করে মদের বোতল। শুরুতে কেউ কিছু বুঝতে পারেননি, তাই এই প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল উপস্থিত শিশুদেরও। পরে দেখা যায়, সমস্ত প্যাকেটেই পুরি আর সবজির সঙ্গে রাখা ছিল মদের বোতল। যখন পুরো বিষয়টি জানাজানি হল, তখন অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। খাবারের প্যাকেটের ছবি পৌঁছে গিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার হাতে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অংশুল বর্মা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন। কীভাবে মন্দিরের অনুষ্ঠানের খাবারের প্যাকেটে মদের বোতল দেওয়া হল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল কেন্দ্র, অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ খারিজ
নিতিন আগরওয়ালের বাবা নরেশ আগরওয়ালও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কিছু দিন আগেই তিনি সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও নরেশ বা তাঁর ছেলে নিতিন, কারও বক্তব্যই এখনও সামনে আসেনি। দু’জনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্থানীয় বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কারণ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের হাতেও পৌঁছে গিয়েছে মদের বোতল। আমি আবগারি দফতরকেও বিষয়টি জানাব। এই বিপুল পরিমান মদ তাদের নজরের বাইরে গিয়ে কীভাবে হাতে হাতে সরবরাহ করা হল, সেটা ভেবেই অবাক লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy