লোকালয়ে চিতাবাঘ। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
চারদিক অন্ধকার। সেই অন্ধকার ভেদ করে গুটি গুটি পায়ে বাড়ির সামনে এগিয়ে এল একটি চিতাবাঘ। তার পর ছোঁ মেরে নিয়ে গেল এক পোষ্য কুকুর। অন্য একটি কুকুর তাড়া করলেও লাভ হল না। মহারাষ্ট্রের পুণের জুন্নার তহসিলের ঘটনা। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা। ভিডিয়ো দেখে আতঙ্কে স্থানীয়েরা। আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
শনিবার রাত ১১টা নাগাদ নারায়ণগাঁওয়ের কাছে ওয়ারুলওয়াড়ি এলাকায় চিতাবাঘটি ঢুকে পড়ে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাড়ির সামনে থেকে একটি কুকুরকে মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে চিতাবাঘটি। স্থানীয়দের দাবি, কুকুরটি বাড়ির মালিকের পোষ্য ছিল। অন্য একটি কুকুর তাড়া করে যায় চিতাবাঘটিকে। যদিও তাতে লাভ হয়নি। চিতাবাঘ পোষ্যটিকে তত ক্ষণে মুখে করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়েরা এই নিয়ে বন দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, চিতাবাঘটিকে ধরা হোক। গত মাসে পুণের উপকণ্ঠে রাজারামবাপু ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে একটি চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল। বন দফতর, দমকলকর্মীরা চিতাবাঘটির খোঁজ শুরু করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে ধরা যায়নি। পুণের অন্তর্গত চারটি তহসিলকে ‘চিতাবাঘ সংক্রান্ত বিপদ-প্রবণ এলাকা’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি এই জুন্নার তহসিল। বাকি তিনটি তালুক হল আম্বেগাঁও, খের, শিরুর। এই চারটি তালুকের মধ্যে ২৩৩টি গ্রাম রয়েছে। এই তালুকগুলিতে চিতাবাঘের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে চিন্তায় প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের কাছে ৪৭টি চিতাবাঘের নির্বীজকরণের সম্মতি চেয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy