Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Aam Aadmi Party

দু’দিন পরে কেন? কেজরীর ইস্তফার সিদ্ধান্তে ‘নাটক’ দেখছে বিজেপি, কংগ্রেসও বলছে, ‘লোকদেখানো’

রবিবার দুপুরেই এক দলীয় সম্মেলন থেকে অরবিন্দ কেজরীওয়াল ঘোষণা করেছেন, দু’দিন পরে তিনি দিল্লির মু‌খ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন। কেন দু’দিন পরে, এখনই নয় কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফার সিদ্ধান্ত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফার সিদ্ধান্ত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৮
Share: Save:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জানিয়েছেন, দু’দিন পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন। পুনরায় ভোটে না জেতা পর্যন্ত আর মুখ্যমন্ত্রীর পদে না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই হাওয়ায় এ বার গা ভাসালেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন মিললেও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর আসনে কিংবা শিক্ষামন্ত্রীর আসনে তিনি এখনই আর ফিরতে চাইছেন না। সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন সিসৌদিয়া। তাঁরও বক্তব্য, কেজরীর সঙ্গে তিনিও ‘জনতার আদালত’ থেকে রায় পেতে চান।

কেজরীওয়ালের সিদ্ধান্তের পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দিল্লির রাজনীতিতে। আম আদমি পার্টির (আপ) অনেকেই দাবি করছেন, কেজরী অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস পাঁচেক পরেই দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের কথা রয়েছে। আপের আশা, দিল্লিবাসী আবার তাদের ভোট দিয়ে কেজরীর পক্ষে মত দেবেন। তবে আপ প্রধানের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। দু’দিন পরে কেন পদত্যাগ, কেন এখনই নয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। কেজরীর পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে একটি ‘রাজনৈতিক নাটক’ হিসাবেই দেখছেন পদ্মশিবিরের নেতারা।

গত শুক্রবার কেজরীওয়ালকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালত শর্ত দিয়েছে, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না। নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এ ছাড়া, প্রকাশ্যে এই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শীর্ষ আদালতের সেই শর্তগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা হরিশ খুরানার বক্তব্য, “তিনি দফতরে যেতে পারবেন না, নথিতে সই করতে পারবেন না। দিল্লির মানুষ জানতে চাইছে, তা হলে তিনি পদে থেকে করবেন কী?”

দিল্লি বিজেপির তরফে সমাজমাধ্যমে কেজরীর প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, “স্যরের কাছে জেল থেকে মুক্তি হল সেই রসগোল্লার মতো, যেটি তাঁর সামনেই রাখা আছে কিন্তু খেতে পারবেন না।” জামিনের শর্তগুলির কথা মনে করিয়ে বিজেপির দাবি, এটিকে কোনও ভাবেই আপের জয় হিসাবে দেখা উচিত নয়। কেজরীর পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘প্রচারের আলোয় থাকা চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারী। তাঁর মতে, কেজরী বুঝতে পেরেছেন দিল্লিবাসীর মনে তাঁকে ঘিরে যে সৎ নেতার ধারণা ছিল, সেটি বদলে গিয়েছে।

বিজেপি তো বটেই, কংগ্রেসও খোঁচা দিচ্ছে আপ প্রধানের সিদ্ধান্তকে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত এটিকে ‘নিছক লোকদেখানো’ বিষয় হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন। তাঁর কথায়, “কেজরীর পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” সুপ্রিম কোর্টের শর্তের কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতার দাবি, কেজরী যে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন, সেই সংশয় রয়েছে আদালতেরও। জামিনের সময় দেওয়া শর্তগুলি তারই প্রতিফলন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arvind Kejriwal BJP Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE