নোট-বাতিলে প্রতিবাদ বামপন্থীদের। শিলচরে। ছবি: স্বপন রায়
নরেন্দ্র মোদীর নোট বদলের সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে একই জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল দু’দলের। শিলচর অফিসপাড়ার মুখে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে। কিন্তু সময় হেরফের করে একসঙ্গে সভা করার পরিস্থিতি এড়াল কংগ্রেস, বামদলগুলি।
কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশে আসেন। সেখানে আজ বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নোট-বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়। সাড়ে ১২টায় শুরু হয় বামেদের ধর্না। ঘণ্টাখানেক চলে সিপিএম, সিপিআই, সিপিআইএমএল নেতাদের ভাষণ। কংগ্রেস সমর্থকরা অবশ্য বামনেতাদের বক্তৃতার আগেই জায়গা ছেড়ে চলে যান।
জাতীয় স্তরে নানা বিষয়ে কংগ্রেস-বামেরা এখন কাছাকাছি। শিলচরে একসঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে আপত্তি কোথায়? সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য সমীরণ আচার্য বলেন, ‘‘এখানে যৌথ কর্মসূচির কথা ভাবা হয়নি। তবু আগে জানলে আমরা অন্য জায়গায় ধর্না দিতে পারতাম।’’
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেবের বক্তব্য— ‘‘সর্বভারতীয় কমিটির নির্দেশে আমাদের আজকের কর্মসূচি পালিত হয়। ফলে বাম দলগুলিকে নিয়ে একসঙ্গে বিক্ষোভের প্রশ্ন ওঠে না।’’
কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি কর্ণেন্দু ভট্টাচার্য, দুই প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিংহ ও গিরীন্দ্র মল্লিক, রুমি নাথ, আতাউর রহমান মাঝারভুঁইঞা, দীপন দেওয়ানজি, কিশোর ভট্টাচার্য, জালাল আহমেদ মজুমদার, শরিফুজ্জামান লস্কর। একই বিষয়ে শহিদ স্মারকস্থলে পরে ভাষণ দেন সমীরণ আচার্য, দুলাল মিত্র, রফিক আহমদ, অসীম নাথ, নীতীশ দে।
কংগ্রেস-বাম উভয়ের অভিযোগ, কালো টাকায় আগে ২০০ শতাংশ জরিমানার কথা বলা হয়েছিল। এখন মোদী সরকার বলছে, ৫০ শতাংশ জরিমানা হবে। ফলে কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান প্রধান উদ্দেশ্য নয় প্রধানমন্ত্রীর। আসলে অনুগতদের কালো টাকা সাদা করিয়ে নেওয়ার জন্যই মানুষকে দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ছোট নোটের ব্যবস্থা না করে ৫০০, ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সবাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy