আগরতলায় বামেদের বিক্ষোভে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ছবি: পিটিআই।
সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমিতির ডাকে আজ দেশের প্রায় চারশো জেলায় ‘জেল ভরো’ বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। রাজধানী দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটেও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। সেখানে সিপিএম-সহ বিভিন্ন বামপন্থী দল বিক্ষোভে শামিল হয়। বাম প্রভাবিত ত্রিপুরায় বিক্ষোভকারীদের উপরে জলকামান ব্যবহার করা হয়। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও।
ত্রিপুরাতে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার প্যারাডাইস চৌমহনিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে থাকেন। জমায়েত সম্পূর্ণ হওয়ার পর পুলিশ চৌমহনির চারদিকের রাস্তা আটকে দেয়। উদ্দেশ্য, আন্দোলনকারীরা যাতে সেখান থেকে মিছিল করে কোনও দিকে যেতে না পারেন। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকে়ড ভাঙার চেষ্টা করে। এই নিয়ে দু’পক্ষে ধাক্কাধাক্কি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ব্যবহার করে। চালানো হয় কাঁদানে গ্যাসও।
বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী জখম বলে জানান পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সিপিএমের সম্পাদক পবিত্র কর। পুলিশেরও কয়েকজন জখম হয়েছে বলে জানান এসপি অজিত প্রতাপ সিংহ। জল কামানের মুখেও বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ব্যারিকেডের উপরে উঠে পড়েন। পরে মানিক সরকার এগিয়ে এসে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান। মানিকবাবু উপস্থিত জমায়েতকে সম্বোধন করে বলেন, ‘‘কোনও রকম প্ররোচনায় পা দিলে চলবে না। সামনে আরও বহু আন্দোলন রয়েছে।’’ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে পরে ছেড়ে দেয়। সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দেয় শাসক বিজেপি সমর্থকরা। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের অফিসে হামলা করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, গত রাত থেকেই দলীয় সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীরা হুমকি দেয়, কর্মসূচিতে অংশ নিলে আর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy