ধর্নায় বিমান বসু, আব্দুল মান্নান-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। নিজস্ব চিত্র
বিধানসভা ভোটের আগে বাম ও কংগ্রেস জোটের লাগাতার যৌথ আন্দোলনের ডাকই উঠে এল কৃষক অবস্থানের মঞ্চ থেকে। রাজ্যের পাশাপাশি জেলায় জেলায় কর্মী-সমর্থকদের আরও বেশি করে রাস্তায় নামার আহ্বান জানালেন দু’পক্ষের নেতৃত্বই।
বামেদের সঙ্গে জোটে গত সপ্তাহেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আনুষ্ঠানিক সেই সম্মতির পরে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে ধর্না-অবস্থানই ছিল প্রথম যৌথ কর্মসূচি। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এ দিনের অবস্থান-মঞ্চ ঘিরে ভিড় ও দু’পক্ষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতোই। দু’পক্ষের শীর্ষ নেতৃত্বই সেখান থেকে দাবি করেছেন, বিজেপি এবং তৃণমূল পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের রাস্তায় তাঁরাই আছেন এবং সেই কাজই আরও জোরালো ভাবে করার কথা বলেছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল বাতিলের দাবিতে এ দিনের ধর্না-অবস্থানের ডাক দিয়েছিল বাম ও সহযোগী মিলে ১৬ দল। বামেদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অবস্থানে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকারেরা। টিপু সুলতান মসজিদের মোড় থেকে মিছিল করে কলকাতার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থানে যোগ দেন মনোজবাবুরা। বামেদের তরফে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, মনোজ ভট্টাচার্য-সহ প্রথম সারির সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ আন্দোলনের কর্মসূচি জোরালো করার ডাক দেওয়ার পাশাপাশিই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু অবস্থানে বলেন, ‘‘কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কে কোন মন্ত্রী হবেন, সেটা আলোচনার বিষয় নয়। মূল কথা হল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হয়ে মানুষের স্বার্থে দাঁড়াতে হবে।’’ রাজনৈতিক শিবিরের মতে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার যে দাবি কংগ্রেসের একাংশ সামনে এনেছেন, সে দিকে ইঙ্গিত করেই এমন মন্তব্য করেছেন সূর্যবাবু।
কংগ্রেসের প্রদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘বামেদের ১৬ দল ও কংগ্রেস মিলে একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক পক্ষ তৈরি করতে হবে। জেলায় জেলায় একসঙ্গে আন্দোলনের পথে যেতে হবে। বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজায় অতিষ্ঠ মানুষের কাছে এটাই হবে সুস্থ রাজনৈতিক বিকল্প।’’ বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা মান্নানও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে যে শাসক দল মোদীর কৃষি আইনের বিরোধিতা করছে, তারাই ওই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব নেওয়ার জন্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকছে না। শ্রমিক-কৃষকের ধর্মঘট সমর্থনকারীদের তাদের পুলিশই গ্রেফতার করেছে, লাঠি চালিয়েছে।’’ তাঁরও দাবি, বিজেপি বা তৃণমূল মুখে যা-ই বলুক, সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে বামেদের সঙ্গে আছে কংগ্রেসই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy