ফাইল চিত্র।
বিজেপি নেতারা নিয়মিত পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে হিংসা নিয়ে আলোচনা করে গিয়েছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে বাংলার হিংসা নিয়ে মামলার শুনানির সময় দেখা গেল, কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীই অনুপস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীও নেই!
পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। তারই একটি মামলায় এক মাস আগে কেন্দ্র ও রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বিনীত সরণের বেঞ্চ নোটিস জারি করেছিল। কিন্তু আজ শুনানির সময়ে দেখা গেল, শুধু আইনজীবীরাই গরহাজির নন, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্যও জানায়নি।
এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট দু’সপ্তাহের জন্য শুনানি পিছিয়েছে। কিন্তু কেেন্দ্রর অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে। চলতি সপ্তাহেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন, রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বলার চেষ্টা করছে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে এমনিতেই কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলা চলছে। এখনই সুপ্রিম কোর্টের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া রাজ্য প্রশাসনের মদতে তৃণমূল হিংসা চালাচ্ছে— এই অভিযোগও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র কেন আদালতের নজরদারি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল না, ব্যাখ্যা মেলেনি।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের মদতে তৃণমূল হিংসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। তাঁর দাবি ছিল, আদালতের নজরদারিতে তদন্ত ও দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করা। ১ জুলাই এই মামলায় শীর্ষ আদালত কেন্দ্র, রাজ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে নোটিস জারি করে। আজ অবশ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী হাজির ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy