গত বৃহস্পতিবার বিজেপির সদর দফতরে রাজনাথ সিংহ, নরেন্দ্র মোদী, জেপি নড্ডা এবং অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
প্রায় ৩ দশক একটানা ক্ষমতায় থাকার পরেও বিপুল জনাদেশ নিয়ে গুজরাতে আবার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেসের রেকর্ড ভেঙে একক দল হিসাবে সর্বোচ্চ আসন পাওয়ারও নজির তৈরি করেছে তারা। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পরেও মোদীরাজ্যে বিজেপির এই ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে যখন চর্চা চলছে, তখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও গুরুত্ব পেল এই সাফল্যের কাহিনি।
সিঙ্গাপুরের ‘দি স্ট্রেটস অফ টাইমস’, জাপানের ‘নিক্কেই এশিয়া’, ব্রিটেনের ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ কিংবা ‘গার্ডিয়ান’-এর মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলি গুজরাত নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত খবরগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।
‘নিক্কেই এশিয়া’ যেমন বিজেপির এই বিপুল জয়ের কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। সংবাদপত্রটিতে লেখা হয়েছে, “মোদী গুজরাতে খুব জনপ্রিয় এক জননেতা। তিনি ১৩ বছর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।” মোদী তাঁর রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে গুজরাতি অস্মিতাকে যে সফল ভাবে বুনে দিতে সক্ষম হয়েছেন, সেই প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে সংবাদপত্রটির একটি প্রতিবেদনে।
আবার ব্রিটেনের ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ দাবি করেছে, গুজরাতে বিজেপির এই বিপুল সাফল্য ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে পদ্ম-শিবিরকে অনেকটাই এগিয়ে দিল। বামঘেঁষা বলে পরিচিত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দি গার্ডিয়ান’ও বিজেপির গুজরাত জয়ের নেপথ্য কারিগর হিসেবে মোদীকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের কথায়, “দলের (বিজেপির) ক্রমবর্ধমান সাফল্যের পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিপুল জনপ্রিয়তা।” ‘আল জাজিরা’, ‘এবিসি নিউজ়’-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলি দলের সদর দফতরে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য উদ্যাপনের ছবিটি বড় করে ছেপেছে। এই ছবির কেন্দ্রে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy