লালুপ্রসাদ, রাবড়ী দেবী এবং তেজস্বী যাদব। ফাইল চিত্র।
‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠাল সিবিআই। শনিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্রে এ খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। রেলে অবৈধ নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতে শুক্রবার তেজস্বীর দিল্লির বাড়ি-সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার পরেই সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ।
চলতি সপ্তাহে এই মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এ বার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘নিশানা’ করেছে লালু-রাবড়ীর পুত্র তেজস্বীকে। কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে নরেন্দ্র বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুলেছে। আরজেডির তরফে জানানো হয়েছে, তেজস্বী তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গেলে ইডি তাঁকে হেনস্থা করেছে।
‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয় ওই সমনে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই নতুন করে ‘সক্রিয়তা’ শুরু করেছে সিবিআই এবং ইডি। অসুস্থ লালু এবং তাঁর কন্যা মিসাকে গত মঙ্গলবার এই মামলায় সিবিআই টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সোমবার পটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাবড়ীকে।
গত রবিবার সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থাকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন তেজস্বী-সহ ৯ জন বিরোধী নেতানেত্রী। তার পরই রাবড়ির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সিবিআই-ইডির এই নতুন সক্রিয়তা প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি এখন বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রধান অস্ত্র।’’
প্রসঙ্গত, লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও। ঘটনার তদন্তে গত বছরের ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে।
গত ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে শুধু লালুপ্রসাদ নন, লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy