উদয়পুরের দর্জি খুনে দুই প্রধান অভিযুক্ত-সহ চার জনকে আদালত থেকে বার করা হচ্ছিল। সেই সময় তাদের দেখে তেড়ে যান একদল আইনজীবী। মূল অভিযুক্তদের তাঁরা কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকেন। কোনও মতে অভিযুক্তদের টেনে নিয়ে গিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় জয়পুরের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র বিশেষ আদালত।
শনিবার এনআইএর বিশেষ আদালতের বিচারক অভিযুক্তদের ১২ জুলাই পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলা রুখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তাতেও গন্ডগোল এড়ানো যায়নি। একদল আইনজীবী ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’, ‘কানহাইয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভাকারীদের আটকানোর জন্য ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করে পুলিশ। আদালত কক্ষ থেকে বেরোনো মাত্রই সেই ব্যারিকেড ভেঙে অভিযুক্তদের দিকে তেড়ে যান ক্ষুব্ধ আইনজীবীদের একাংশ। এর পরেই অভিযুক্তদের পুলিশের ঘেরাটোপ থেকে টেনে বার করার চেষ্টা করেন তাঁরা। শুরু হয় কিল, চড়, ঘুষির পালা। কয়েক জন আবার অভিযুক্তদের হাত ধরেও টানাটানি শুরু করেন। পুলিশ শেষমেশ টেনেহিঁচড়ে কোনও মতে চার জনকে প্রিজন ভ্যানে তোলে।
#WATCH | Udaipur murder incident: Accused attacked by an angry crowd of people while being escorted by police outside the premises of NIA court in Jaipur
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) July 2, 2022
All the four accused were sent to 10-day remand to NIA by the NIA court, today pic.twitter.com/1TRWRWO53Z
গত মঙ্গলবার কানহাইয়া লাল নামে এক দর্জির গলা কেটে খুন করার অভিযোগ ওঠে রিয়াজ আখতারি ও গোস মহম্মদের বিরুদ্ধে। সেই খুনের ভিডিয়োও তোলে তারা। পরে আরও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজেদের কাজ ‘সফল’ হয়েছে বলে ঘোষণা করে রিয়াজরা। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে যায় দু’জন। খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পরে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও শনিবার আদালতে হাজির করানো হয়।