তরণতারণের থানায় রকেট হামলাকারীদের কড়া বার্তা কেজরীওয়ালের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পঞ্জাবের তরণতারণ থানায় শুক্রবার রাতের রকেট হামলার দায় নিল খলিস্তানপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)। কানাডা-ভিত্তিক সংগঠনটির তরফে শনিবার হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে শনিবার আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল থানায় রকেট হামলার পিছনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের’ অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুরনো রাজনৈতিক দলগুলির আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে। তরণতারণের হামলাকারীদেরও ছাড়া হবে না।’’
পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব শনিবার বলেন, ‘‘শুক্রবার রাত ১১টা ২২ নাগাদ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা থানা লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছিল। রকেটটি থানার ভিতরে ‘সুবিধা সেন্টারে’ আঘাত করে। তবে ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এ মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে শনিবার ভোররাত থেকে এলাকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
কিছু দিন ধরেই উত্তর পঞ্জাবের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই জেলায় খলিস্তানপন্থী সংগঠনগুলির তৎপরতার ‘খবর’ আসছিল। সীমান্তের ও পার থেকে পাক ড্রোনে চড়িয়ে আনা একে সিরিজ়ের রাইফেল, বিস্ফোরক এবং জাল টাকা উদ্ধারও হয়েছে কয়েক বার। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, হামলাকারীরা ড্রোনের সাহায্যেই পাকিস্তান থেকে আরপিজিএল (রকেট প্রপেল্ড গ্রেনেড লঞ্চার) এনেছিল।
গত ২২ মে মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরে রকেট হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় রাশিয়ায় তৈরি আরপিজি-২২ রকেট লঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছিল। তরণতারণ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল খলিস্তানি জঙ্গি নেতা চরত সিংহ এবং তাঁর সহযোগী নিশান সিংহকে। সে সময়ই ওই জেলায় নয়া খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স’ এবং এসএফজের তৎপরতার খবর সামনে আসে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসএফজে-কে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ইউএপিএ আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনে মদত দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয় খলিস্তানপন্থী সংগঠনটির বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সংগঠনটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাকিস্তান, বিশেষ করে আইএসআই এজেন্টদের ছড়াছড়ি। ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে আর্থিক মদত যোগায় এই নিষিদ্ধ সংগঠন। এমনকি নেটমাধ্যমে ভারত-বিরোধী পোস্ট দিতে পারলে বিদেশের কোনও দেশে নাগরিকত্ব জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে ওই নিষিদ্ধ সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy