কেরলের প্রার্থনাসভায় বিস্ফোরণ। (ডান দিকে) অভিযুক্ত ডমিনিক মার্টিন। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্টারনেট দেখে বোমা বানানো শিখেছিলেন তিনি। মাত্র তিন হাজার টাকা খরচ করে সেই বোমা বানিয়েছিলেন। কেরলের কোচিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বছর আটচল্লিশের ডমিনিক মার্টিন জেরায় এমনই দাবি করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মার্টিনের পরিবার গত পাঁচ বছর ধরে কোচিতে এক ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন। কিন্তু কর্মসূত্রে বিদেশে থাকতেন মার্টিন। সেখানে ফোরম্যানের কাজ করতেন। বিস্ফোরণের ঘটনার মাস দুয়েক আগেই কোচিতে ফিরেছিলেন মার্টিন। পুলিশ সূত্রে খবর, বৈদ্যুতিক সার্কিট বানাতে দক্ষ বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্ত। বিদেশে থাকাকালীনই সার্কিট বানানোর বিষয়টি রপ্ত করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, ইন্টারনেট ঘেঁটে বোমা বানানোর কাজও শুরু করেন।
১৪ ঘণ্টা ধরে মার্টিনকে জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, কোচির বাইরে অলুবায় একটি বাড়িতে বোমা বানানো হয়েছিল। সেই বোমা রবিবার সকাল ৭টায় কালামাসেরির প্রার্থনাসভায় রেখে এসেছিলেন। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের আগে সমাজমাধ্যমে একটি লাইভও করেন মার্টিন। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন সেই লাইভের সত্যতা যাচাই করেননি। ওই লাইভে মার্টিন দাবি করেন, জিহোবার ওই কনভেনশন সেন্টারে ভুল পাঠ শেখানো হচ্ছে। শিশুদের মধ্যেও ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের কাছে মার্টিন দাবি করেছেন, এই ধরনের ভুল বার্তা না ছড়ানোর জন্য ওই সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি। তার পরই তিনি বিস্ফোরণ ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
কেরলের সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ জন। কালামাসেরির ওই প্রার্থনাসভায় রবিবার হাজির হয়েছিলেন দু’হাজার মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy