ভারতীয় মহিলারা যৌন নিগ্রহের মিথ্যা মামলা দায়ের করতে পারেন না, এমনটা ভেবে নেওয়া ভুল। সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে কেরল হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনেকে মনে করেন ভারতীয় মহিলারা যৌন হেনস্থার মিথ্যা মামলা করতেই পারেন না। কারণ, এতে সমাজে মহিলার বদনাম হতে পারে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি এ বহরুদ্দিন।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, আদালত জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে এই ক্ষেত্রে মহিলাদের মিথ্যা অভিযাগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভিন্ন ভিন্ন মামলার বিশ্লেষণ না-করে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় না যে, মহিলারা মিথ্যা মামলা দায়ের করতে পারেন না। ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা খারিজের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এক মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। কিন্তু পরে অভিযোগকারী মহিলা আদালতে জানান, মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। যদিও সরকারি আইনজীবী মামলা প্রত্যাহারে আপত্তি জানান। তিনি জানান, মহিলার বয়ানের প্রেক্ষিতেই এফআইআর রুজু হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, এই মামলাটির ক্ষেত্রে মহিলা যে সময়ের অভিযোগ করছেন, সেটি ২০১৪ সালের ঘটনা। অথচ এফআইআর রুজু হয় ২০১৯ সালে। এর আগে ২০১৬ সালে মহিলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মহিলা আর কোনও পদক্ষেপ করেননি। এর ফলে মহিলার অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় জাগে আদালতের। কেরল হাই কোর্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা খারিজের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, উভয়ের সম্মতিতেই ওই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।