কেকে শৈলজা। ফাইল চিত্র।
পিপিই কিট কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল সে রাজ্যের লোকায়ুক্ত আদালত। কোভিডের প্রথম পর্বে তাঁর বিরুদ্ধে খোলা বাজারের থেকে অনেক বেশি দামে পিপিই কিট কেনার অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস নেতা বীনা এস নায়ার। গত ৮ ডিসেম্বর সিপিএমের এই নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় কেরালার দুর্নীতিদমন শাখা।
কংগ্রেস নেতা বীনার অভিযোগ, খোলা বাজারের থেকে অনেক বেশি দামে, ১,৫৫০ টাকা দিয়ে এক একটি পিপিই কিট কেনা হয় শৈলজার আমলে। এর জন্য কিট প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
শৈলজা অবশ্য বেশি দামে পিপিই কিট কেনার বিষয়টিকে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্নীতির বিষয়টি তিনি উড়িয়ে দেন। বেশি দামে পিপিই কিট কেনার সপক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, কিটের মানের সঙ্গে আপস করতে চাননি তিনি। কোভিড আক্রান্ত মানুষদের জীবন এবং স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অনুমতিক্রমেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন শৈলজা। শৈলজার কথায়, কেরলের স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেন যে প্রয়োজনের তুলনায় পিপিই কিট অপ্রতুল। সে সময় পিপিই কিটের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সব জানাই। উনি বলেন, দাম যতই হোক, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দ্রুত পিপিই কিট কেনা হোক।” পরে পিপিই কিটের দাম কমে ৫০০ টাকা হয়ে যাওয়ায় আগের বরাত বাতিল করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, কোভিড মোকাবিলায় ভাল কাজ করার জন্য সে সময় প্রশংসিত হয়েছিলেন শৈলজা। পরে শৈলজাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy