নমামি বরাক: শুরু হল নদী উৎসব। শনিবার শিলচরে। —নিজস্ব চিত্র।
এ এক নতুন উৎসব। বরাকবাসীর কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। এই উৎসবের আকর্ষণে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। সকলের গন্তব্য করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, শিলচরের উত্সব প্রাঙ্গণ।
নমামি বরাক বা নদী উৎসব এ বারই প্রথম। আর তাতেই বাজিমাত করল বিজেপি দল ও সরকার। কংগ্রেসের আপত্তি, শিল্পী বাছাই নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনা, সরকারি অর্থের অপচয় বলে একাংশের নিন্দা—কোনও কিছুতেই গা না করে আজ বেলা বাড়তেই মানুষের অভিমুখ ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই কানায় কানায় ভরে ওঠে মাঠ। প্রদর্শনী, ফুড কোর্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—সব জায়গাতেই আবালবৃদ্ধবনিতার উপচে পড়া ভিড়। সূর্য ডুবতেই ভিড় বাড়ে বরাক নদীর তীরে। এক যোগে সাতটি ঘাট থেকে কয়েক হাজার প্রদীপ ভাসানো হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, উত্সবের তিন দিনে মোট ১১ হাজার ১১১টি প্রদীপ ভাসানো হবে বরাকের জলে। প্রতিবেশী তিন রাজ্যের রাজ্যপাল— তথাগত রায় (ত্রিপুরা), গঙ্গা প্রসাদ (মেঘালয়), পিবি আচার্য (নাগাল্যান্ড)-কে সঙ্গে নিয়ে উত্সবের উদ্বোধন করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, রাজেন গোঁহাই।
বরাক নদী এ অঞ্চলের জীবনরেখা। এর গুরুত্ব সকলের কাছে তুলে ধরাই এই উৎসবের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাঙ্গা থেকে লক্ষীপুর, জাতীয় জলপথে জাহাজ চলাচল শীঘ্রই শুরু হবে। কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হবে বরাক উপত্যকায়। সে জন্য দুই দেশে নদী খননের চুক্তি হয়েছে। আজ ওই খনন কার্যের সূচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে দু’টি ড্রেজার বরাকে এসে পৌঁছেছে। আরও তিনটি আসবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, নমামি বরাকের মাধ্যমেই জলযাত্রার সূচনা হল। এখন পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে সক্ষম হবে এই উপত্যকা। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান শিলচরে হলেও করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দিতে উৎসবের দুই পৃথক অনুষ্ঠানেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy