১০ বছর আগের এক দুর্ঘটনা জীবন ওলটপালট করে দিয়েছিল তাঁর। সেই মেয়েই সম্প্রতি কয়েক মিনিটে কোটিপতি হয়ে উঠলেন!
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
১০ বছর আগের এক দুর্ঘটনা জীবন ওলটপালট করে দিয়েছিল তাঁর। মুহূর্তে একরাশ অন্ধকার নেমে এসেছিল চোখের সামনে। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
০২১৩
হিমানির বয়স তখন মাত্র ১৬ বছর। চোখের সামনে মেয়েকে নিয়ে দেখা সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল মা-বাবারও। ভেবেছিলেন, মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
০৩১৩
সেই মেয়েই সম্প্রতি কয়েক মিনিটে কোটিপতি হয়ে উঠলেন! কেবিসি ১৩-র প্রথম কোটি টাকা জয়ী তিনি। একটুর জন্য ৭ কোটি টাকা জেতার সুযোগ হারিয়েছেন।
০৪১৩
তাঁর পুরো নাম হিমানি বুন্দেলা। আগ্রার মেয়ে হিমানি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্কুলে অঙ্কের শিক্ষিকা।
০৫১৩
২০১১ সালে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই দু’চোখে প্রায় দেখতে পান না। অনেক চিকিৎসার পর মোটা কাচের চশমা পরে দৈনন্দিন কাজকর্ম যদিও চালাতে পারেন এখন।
০৬১৩
সম্প্রতি কেবিসি সিজন ১৩-র একটি এপিসোডে অমিতাভ বচ্চনের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। একটার পর একটা কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এক কোটি টাকা জিতে নেন।
০৭১৩
শেষ যে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি কোটিপতি হয়েছেন, তার জন্য কোনও লাইফলাইন ব্যবহার করেননি তিনি। নিজেই উত্তর দিয়েছিলেন।
০৮১৩
সঞ্চালক বিগ বি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের গুপ্তচর হিসাবে ফ্রান্সে থাকাকালীন নুর ইনায়ত খান কী ছদ্মনাম নিয়েছিলেন?’ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেন তিনি।
০৯১৩
এই খেলার নিয়ম অনুযায়ী, পরের রাউন্ডেই সাত কোটি টাকার প্রশ্ন করা হয় প্রতিযোগীকে। কিন্তু ঝুঁকি নেননি হিমানি। সাত কোটি টাকার রাউন্ডটি খেলতে চাননি।
১০১৩
এই বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চান হিমানি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি কোচিং সেন্টার খুলতে চান। সেই সমস্ত শিশুকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক সরকারি চাকরির জন্য তৈরি করতে চান।
১১১৩
অতিমারিতে চাকরি হারানো বাবার জন্য বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করতে চান। তাঁর জন্য একটি ব্যবসার কথা ভেবেছেন হিমানি। ভাই-বোনেদের ভবিষ্যতের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। আর নিজের জন্য? হিমানির কথায়, ‘‘পরিবারই আমার সব কিছু। ওদের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার ভাল লাগবে।’’
১২১৩
ডান চোখে একেবারেই দেখতে পান না হিমানি। বাঁ চোখে যেটুকু দৃষ্টিশক্তি ছিল, তাও ক্রমশ হারিয়ে ফেলছেন। বহু দিন হল বাঁ চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়েছে। চিকিৎসা চলছে। তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই পরিবারের।
১৩১৩
হিমানি কিন্তু দিব্যি বাঁচেন। তাঁর মতো অন্যদেরও বাঁচার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যান। মুখে সব সময় হাসি। ক্লাসে ছাত্রদেরও হাসতে শেখান তিনি।