সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ফাইল চিত্র।
হুরিয়ত কনফারেন্স ছাড়লেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ১৯৯০ থেকে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন বছর নব্বইয়ের গিলানি। দীর্ঘ সময় ধরে হুরিয়তের চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন তিনি।
সোমবার এক অডিয়ো বার্তায় গিলানি বলেন, “দলের সাম্প্রতিক অবস্থা দেখেই হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। এ ব্যাপারে দলকে সবিস্তারে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছি।”
সূত্রের খবর, ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারেনি হুরিয়ত। এই অভিযোগে পাকিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে গিলানিকে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্র এত বড় পদক্ষেপ করার পরও কেন নীরব ছিলেন তা নিয়েও বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।” তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, দলের সদস্যরা গিলানির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দল ছাড়ার অন্যতম কারণ এটা।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ এই হুরিয়ত নেতা। দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার এটাও একটা কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছে ওই সূত্র। ২০১০ থেকে বেশির ভাগ সময় গৃহবন্দি থেকেছেন গিলানি।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব ছিল এই হুরিয়ত নেতার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, গিলানির এই ইস্তফা কাশ্মীরের রাজনীতিতে একটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: নাম না করে রাহুলকে ‘বিদেশি ও দেশবিরোধী’ তকমা, বিতর্কের মুখে প্রজ্ঞা ঠাকুর
আরও পড়ুন: অনন্তনাগে নিহত হিজবুল কম্যান্ডার-সহ ৩ জঙ্গি, কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য বাহিনীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy