আগামী ১৯ নভেম্বর শিখদের পবিত্র উৎসব গুরুপুরব। তার ঠিক আগে, আগামিকাল থেকেই খুলে যাচ্ছে করতারপুর সাহিব করিডর।
আগামী ১৯ নভেম্বর শিখদের পবিত্র উৎসব গুরুপুরব। তার ঠিক আগে, আগামিকাল থেকেই খুলে যাচ্ছে করতারপুর সাহিব করিডর। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পরে আজ ওই করিডর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। বছর ঘুরলেই পঞ্জাবে নির্বাচন। শিখ সমাজের মন জয় করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ভারত ও পাকিস্তান— দু’দেশ রাজি হওয়ায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে করতারপুর সাহিব করিডর খুলে দেওয়া হয়েছিল। পঞ্জাবের গুরদাসপুরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক সংযুক্ত করে পাকিস্তানের দরবার সাহিব করতারপুরকে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ওই জায়গাটিতে গুরু নানক জীবনের শেষ আঠারো বছর কাটিয়েছিলেন। তাই দু’দেশের শিখ সমাজের কাছেই স্থানটির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু করিডর খোলার পরেও চার মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করোনা সংক্রমণের কারণে। এ বার পঞ্জাবে ভোট এগিয়ে আসায় রাজ্যের বিজেপি নেতারা করতারপুর করিডরটি খোলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একাধিকবার তদ্বির করেছিলেন। করিডর খোলার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ, দাবি জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধুও।
একাধিক শিবিরের দাবি খতিয়ে দেখে গুরুপুরবের ঠিক আগে করতারপুর করিডর খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আজ টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘শিখ তীর্থযাত্রীদের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামী ১৭ নভেম্বর ফের খুলে দেওয়া হবে করতারপুর করিডর। গুরুনানক ও শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত।’’ ওই করিডর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশে ভিসা লাগে না তীর্থযাত্রীদের। কেন্দ্র জানিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের কোভিড বিধি মেনে তীর্থে যেতে হবে। যাঁদের টিকার দুটি ডোজ ও ৭২ ঘণ্টা আগে করা নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট রয়েছে, তাঁরাই যেতে পারবেন।
সামনে পঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। কিন্তু কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের কারণে পঞ্জাবে বিজেপির জনসমর্থন একেবারে তলানিতে। এনডিএ ছেড়ে চলে গিয়েছে পুরনো শরিক শিরোমণি অকালি দল। রাজ্যে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এই আবহে পঞ্জাবে শিখ সমাজের জনসমর্থন পেতে করতারপুর করিডর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই অনেকে মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy