কর্নাটক পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে বিজেপির অন্দরে। ফাইল চিত্র।
দু’দফায় ঘোষণা করা হয়েছে ২১২ জন প্রার্থীর নাম। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ভোটে এখনও ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। কিন্তু প্রায় এক-চতুর্থাংশ বিধায়ককে ছেঁটে ফেলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের হাতে দক্ষিণ ভারতের এক মাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যের ভার দিতে চান তাঁরা। আর দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা নিয়েই।
মঙ্গলবার প্রথম দফায় ১৮৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, প্রাক্তন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কে এশ্বরাপ্পা, লক্ষ্মণ সদাভি, মন্ত্রী এস অঙ্গারা, আনন্দ সিংহ-সহ ১০ জন বিধায়ককে ছেঁটে ফেলা হয় (তবে ইয়েদুরাপ্পার আসনে টিকিট দেওয়া হয় তাঁর ছেলেকে)। অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং জেডি (এস) ছেড়ে আসা প্রায় এক ডজন বিধায়ক পদ্ম চিহ্ন পান। পাশাপাশি, প্রথম তালিকায় দেখা গিয়েছে ৫২টি নতুন মুখ। বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফায় ২৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাতে বাদ পড়েছেন ৭ জন বিদায়ী বিধায়ক!
প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের খবর এসেছে। বেলগাম জেলার নেতা লক্ষ্মণের আতমি কেন্দ্রে নয়া প্রার্থী ঘোষণার পরেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। একই ভাবে নতুন প্রার্থী মানতে না পেরে দক্ষিণ কন্নড় জেলার প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা ৬ বারের বিধায়ক এস অঙ্গারা সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেছেন। রাজনীতি থেকে অবসরের কথা জানিয়েছেন এশ্বরাপ্পাও।
অন্য দিকে, রঘুপতি ভট্ট (উদুপি), সঞ্জীব মতন্দুর (পুত্তুর), এইচ শ্রীনিবাস শেট্টির মতো হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়করা টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ দু’দফার তালিকাতেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। মঙ্গলবার জগদীশ বলেছিলেন, ‘‘দল টিকিট না দিলেও আমি ভোটে লড়বই।’’ সূত্রের খবর, নির্দল প্রার্থী হওয়া আটকাতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে ফল ঘোষণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy