বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়াকে এ বার ডেকে পাঠাল কর্নাটক পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে বেঙ্গালুরুর সংশ্লিষ্ট থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে নিকিতার পরিবারের সদস্যদেরও। থানায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।

নিকিতা এবং তাঁর পরিবার উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা। অতুল মামলায় অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল জৌনপুরে পৌঁছে গিয়েছে। চার সদস্যের সেই দলে রয়েছেন মহিলা পুলিশ আধিকারিকও। তার পর শুক্রবার নিকিতাদের ডেকে পাঠানো হল। কর্নাটক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিকিতা, তাঁর মা নিশা, ভাই অনুরাগ এবং কাকা সুশীলকে বেঙ্গালুরুর মারাঠাহল্লি থানায় তিন দিনের মধ্যে হাজির হতে হবে।

কয়েকটি সূত্রের দাবি, নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের লোকজন বাড়িতে নেই। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অতুলের আত্মহত্যার পর তাঁরা বাড়িতেই ছিলেন। নিকিতার পরিবার এ প্রসঙ্গে মুখও খুলেছিল। অতুলের বিরুদ্ধে তাঁরা পাল্টা হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁদের বাড়িতে সাংবাদিকদের ভিড় লেগে থাকত। সেই কারণেই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন বলে দাবি।

কর্মসূত্রে অতুল বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। তাঁর বাবা-মা থাকেন বিহারে। বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় তিনি জেনারেল ম্যানেজার পদে ছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে রেখে আত্মঘাতী হয়েছেন অতুল। মৃত্যুর আগে দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিয়োও রেকর্ড করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর অতুলের ভাই বেঙ্গালুরুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে অতুলের স্ত্রী এবং তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অতুল। নিকিতার সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অভিযোগ, পণ চাওয়া, অস্বাভাবিক যৌনতা, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক মিথ্যা মামলা তিনি অতুলের বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন।