Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

সাংবাদিক আটক, কটূক্তির সঙ্গে প্রশ্ন কাশ্মীর-যোগ নিয়ে

সংবাদমাধ্যমের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে ফোন যাওয়ার পরে ওমরদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। 

ওমর রশিদ

ওমর রশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৫
Share: Save:

কর্নাটকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মলয়ালি সাংবাদিকদের হেনস্থা এবং আটক করার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। লখনউয়ে হিংসার ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে এ বার পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হল সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের এক সাংবাদিক ওমর রশিদকে। ছাড়া পাওয়ার পরে তাঁর অভিযোগ, সাদা পোশাকে রেস্তরাঁয় ঢুকে তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ এবং তাঁকে সাম্প্রদায়িক কটূক্তিও করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তাঁদের আটকে রাখা হয়েছিল। পরে সংবাদমাধ্যমের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে ফোন যাওয়ার পরে ওমরদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

একটি টিভি চ্যানেলকে ওমর জানিয়েছেন, একটি খবরের জন্য তিনি বন্ধুর সঙ্গে রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন। বন্ধুর মোবাইলের ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করছিলেন তিনি। ওমর বলেন, ‘‘তিন থেকে চার জন আচমকা রেস্তরাঁয় ঢুকে আমাদের টেবিলের কাছে আসে। আমাদের পরিচয় জানতে চায়, তার পরে আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার পরেই বন্ধুকে টেনে নিয়ে জিপে তোলে, আমাকেও বলে সঙ্গে আসতে।’’ সাংবাদিকের অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে বন্ধ করে তাঁদের মোবাইল এবং যাবতীয় জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া

হয়। তার পরে বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ওমরের কথায়, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে ওরা আমাদের বলল, লখনউয়ের হিংসার ঘটনার চক্রান্তে নাকি আমরা জড়িত। কাশ্মীরিদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কতটা, ওরাও লখনউয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সেই সব জানতে চাইল। ওরা বার বার বলছিল, আমার বিরুদ্ধে ওদের কাছে নথিপত্র আছে। তার পরে আমাকে গালিগালাজ করা শুরু করল অকথ্য ভাষায়। বলা হল, টেনে আমার দাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হবে।’’ সাংবাদিকটি জানান, তিনি যত বার প্রশ্ন করতে চেয়েছেন, তাঁকে ধমকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এ-ও বলা হয়, ‘‘সাংবাদিকতা ভুলিয়ে দেব, ও সব নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।’’ অনেকেরই প্রশ্ন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পোশাক দেখে আন্দোলনকারী চিহ্নিত করার কথা বলার পরেই কি এ ধরনের সাহস দেখাল পুলিশ?

শুধু লখনউ নয়, অভিযোগ দিল্লিতেও এই আন্দোলন বিক্ষোভ ‘কভার’ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের অনেককেই বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ, পরিচয় জানার পরেও। নিগৃহীত এমন ১৪ জন সাংবাদিকের নাম ও ছবি এবং অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছে একটি ওয়েবসাইট।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy