সরকারি চাকরিতে স্বামীর জাতি উল্লেখ বাধ্যতামূলক নয়, দেওয়া যাবে বাপের বাড়ির পরিচয় নির্দেশ আদালতের। প্রতীকী ছবি।
স্বামীর পরিবর্তে সরকারি চাকরিতে বাবা-মায়ের জাতি ব্যবহার করতে পারবেন বিবাহিত মহিলারা। সেই অনুযায়ী দিতে হবে সংরক্ষণের সুবিধাও। স্কুলে নিয়োগ মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। গত সপ্তাহে বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের রায় দিয়ে জানান, বিয়ের পরেও বাবা-মায়ের জাতিকে নিজের জাতি বলে উল্লেখ করতে পারবেন মেয়েরা। সেই সূত্রে সরকারি চাকরিতেও বিয়ের আগের জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারবেন তাঁরা। আর সরকারকে তা বিবেচনা করতেই হবে।
কর্নাটকের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বামীর বদলে বাবা-মায়ের শংসাপত্র ব্যবহার করেন বহু বিবাহিত মহিলা। ওই নিয়োগে মূলত সংরক্ষিত আসনে সুযোগ পেতেই তাঁদের এই পদক্ষেপ। কিন্তু সে রাজ্যের সরকার ওই আবেদনগুলি বাতিল করে দেয়। তাদের যুক্তি, যে সব মেয়ে বিবাহিত, তাঁদের বাবা-মা নন, স্বামীর জাতিগত শংসাপত্রই আবেদনকারীর শংসাপত্র হিসাবে বিবেচনা করা হবে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান ২১ জন বিবাহিত মহিলা চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা প্রত্যেকেই ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রার্থী। বিয়ের পর তাঁরা সাধারণ প্রার্থী হন। এই মামলাতেই হাই কোর্টের নির্দেশ, মামলকারীদের সবাইকে আগের জাতি মোতাবেক সংরক্ষণ শ্রেণিতেই সুযোগ দিতে হবে রাজ্যকে। তবে জাতিগত এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ইচ্ছার উপরই নির্ভর করবে।
চাকরিতে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে এই বিতর্ক কলকাতা হাই কোর্টেও দেখা গিয়েছে। জাতিগত শংসাপত্রের সঙ্গে অনেক চাকরিপ্রার্থীর পদবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেখানে রাজ্যের যুক্তি ছিল, হয়তো ওই মহিলা প্রার্থীরা বিয়ের আগে বা পরের পদবি অনুযায়ী সংরক্ষণের আওতায় এসেছেন। তবে কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলাটির এখনও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy