ভরা জনসভা। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। আচমকাই সভাস্থলে দর্শকদের মধ্যে থেকে কয়েক জন তাঁকে কালো পতাকা দেখান! দাবি, তাঁরা সকলেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক। বিষয়টি নজরে আসতেই মঞ্চের উপরই মেজাজ হারান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে চড় মারতেও উদ্যত হন তিনি! ঘটনার ভিডিয়ো (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে কর্নাটকের রাজ্য-রাজনীতিতে।
সোমবার বেলাগাভিতে কংগ্রেসের একটি জনসভা ছিল। সেই জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তিনি যখন বক্তৃতা করতে ওঠেন তখন কংগ্রেসের নেতানেত্রীও মঞ্চে ছিলেন। তিনি ভাষণ শুরু করতেই দর্শকদের মধ্যে থাকা কয়েক জন কালো পতাকা দেখান তাঁকে। বিষয়টি দেখেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কালো পতাকা দেখে বক্তৃতা থামিয়ে দেন সিদ্দারামাইয়া। ডেকে পাঠান পুলিশের এক কর্তাকে। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি মঞ্চে উঠতেই সিদ্দারামাইয়া তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কী ভাবে এমন লোক সভাস্থলে ঢুকে পড়ল? তাঁরা কী ভাবে সভাস্থলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন? এখানকার এসপি কে? আপনারা কী করছেন?’’ তার পর আর ওই ভিডিয়োতে কথাবার্তা স্পষ্ট শোনা যায়নি। তবে দেখা যায়, সিদ্দারামাইরা হাত তুলে চড়ের ভঙ্গিতে এগিয়ে যান ওই পুলিশকর্তার দিকে। তখন ওই পুলিশকর্তাকে কিছুটা পিছিয়ে যেতে দেখা যায়।
অনেকেরই দাবি, সিদ্দারামইয়া এএসপি নারায়ণ বরামণিকে চড় মারতেই গিয়েছিলেন। এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে। বিরোধীরা একে একে আক্রমণ করছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে। জেডিএস ঘটনার নিন্দা করে সিদ্দারামাইয়ার উদ্দেশে বলে, ‘‘পুলিশ অফিসারকে আঘাত করার জন্য হাত তোলা আপনার পদমর্যাদায় শোভা পায় না। আপনার গদিতে থাকার মেয়াদ মাত্র পাঁচ বছর। কিন্তু এক জন সরকারি অফিসার ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করেন। ক্ষমতা কারও জন্য স্থায়ী নয়।’’
আরও পড়ুন:
কর্নাটকের বিজেপির মুখপাত্র বিজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘পুলিশ অফিসারের দিকে হাত তোলা সর্বোচ্চ স্তরের অপমান। আপনার ঔদ্ধত্য সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’ যদিও এ ব্যাপারে কংগ্রেস বা সিদ্দারামাইয়ার তরফে কোনও বক্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি।