পহেলগাঁও কাণ্ডের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের ঘোষিত লাইন মেনে চলতে হবে কংগ্রেস নেতাদের। সূত্রের খবর, এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের সর্বস্তরের নেতাদের। সম্প্রতি দলের নেতাদের একাংশের মন্তব্যে দৃশ্যত বিড়ম্বনায় পড়েছে কংগ্রেস শিবির। তাঁদের মন্তব্যের জেরে বিজেপির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতাদের পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় ঘোষিত অবস্থান মেনে চলতে নির্দেশ দিল কংগ্রেস।
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, দলীয় নেতাদের একাংশের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট রাহুল এবং খড়্গে। ওই মন্তব্যের জেরে দলের ঘোষিত অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ইতিমধ্যে এই মর্মে একটি বিবৃতি দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একটি প্রস্তাব পাশ করে। পরে গত শুক্রবার সংসদে সর্বদল বৈঠকে দলের মতামত তুলে ধরেন কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তাব, খড়্গে ও রাহুলের মতামত এবং দলের অনুমোদিত পদাধিকারীদের মতামত একক ভাবে কংগ্রেসের অবস্থানকে তুলে ধরে।
জয়রাম সমাজমাধ্যমে লেখেন, “কংগ্রস নেতাদের একাংশ সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করছেন। তাঁদের বক্তব্য নিজস্ব মতামত এবং এগুলি কংগ্রেসের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।” বস্তুত, গত শুক্রবার সর্বদল বৈঠক শেষে রাহুল জানিয়েছিলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। সরকার যা-ই পদক্ষেপ করুক, বিরোধী শিবির পূর্ণ সমর্থন জানাবে বলেও ওই বৈঠক শেষে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাহুল। খড়্গেও বলেছিলেন, “আমরা চাই জম্মু ও কাশ্মীরে দ্রুত শান্তি ফিরুক।”
আরও পড়ুন:
তবে এর মধ্যেও কংগ্রেস নেতাদের একাংশের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। দলের ওই নেতাদের উপর খড়্গে বা রাহুলের কি কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? এমন প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছিল বিজেপি। এই বিতর্কের মাঝে ফের নিজেদের দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করল কংগ্রেস। সোমবার রাজস্থানের জয়পুরে এক রাজনৈতিক সভা থেকে খড়্গে বলেছেন, দেশ সবার উপরে। তার পরে দল। দেশের জন্য প্রত্যেকের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
পাক গোলার স্প্লিন্টার বদলে দিয়েছে জীবন, সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রাজৌরির ইমতিয়াজ়
-
‘সিঁদুর যারা মুছে দেবে, তাদেরও মুছে যেতে হবে’, গুজরাত থেকে আবার হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর, পাকিস্তান নিয়ে কী কী বললেন
-
পাকিস্তানকে ‘নগ্ন’ করবে ভারত, কূটনৈতিক অভিযানে পরিব্রাজক ৫৯ সাংসদ, দলে বাংলার ২ বাঙালি
-
জ্যোতির বিদেশ সফরের খরচ জুগিয়েছিল দুবাইয়ের এক সংস্থা! তাদের পাকিস্তান-যোগ এখন হরিয়ানা পুলিশের নজরে
-
মোদি, রাজনাথের মুখে পরমাণু হুমকি প্রসঙ্গ, বিদেশ সচিব জানালেন হুমকি দেয়নি পাকিস্তান