কাগজ ছিঁড়ে কুটিকুটি, সিডি ক্যাসেট হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, বিজেপি বিধায়কদের প্রচণ্ড আপত্তি উড়িয়ে কর্নাটক বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বিল। সংশ্লিষ্ট বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দিলে সরকারি যে কোনও চুক্তিতে কর্নাটকের সংখ্যালঘুরা ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। যদিও বিল সহজে পাশ হয়নি। অসংসদীয় আচরণের জন্য বিজেপির ১৮ জন বিধায়ককে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার।
শেষ সপ্তাহে বাজেট পেশের সময়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানান, সে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কাজের ক্ষেত্রে মুসলমানদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করা হবে। শুক্রবার পূর্বঘোষণা মাফিক সংশ্লিষ্ট বিল পেশ হয় বিধানসভায়। কিন্তু বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলা হয় স্পিকারের দিকে। বিলকে অসাংবিধানিক দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিক্ষোভরত কয়েক জন বিধায়ককে মার্শাল ডেকে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হয় বিধানসভা থেকে।
বস্তুত, বিজেপি শাসনে কর্নাটকে মুসলমানদের জন্য যাবতীয় সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ আনার চেষ্টায় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন:
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন আগেই। মুসলমান সম্প্রদায়ের দাবি মেনে সরকারি টেন্ডার কিংবা বরাতে ৪ শতাংশ সংরক্ষণের কথা জানান। বিলে জানানো হয়েছে, সরকারি বরাতে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন মুসলমান ঠিকাদারেরা। সংশোধিত বিলে রয়েছে, দু’কোটি টাকার নির্মাণের কাজের সংরক্ষণ পাবেন মুসলমান ঠিকাদারেরা। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এক কোটি টাকার বরাতে সংরক্ষণ পাবেন। সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, কর্নাটকে যে কোনও সরকারি নির্মাণের কাজে ২৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন তফসিল জাতি এবং জনজাতির প্রতিনিধিরা। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ক্যাটেগরি ১) এক থেকে চার শতাংশ এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (২এ) পাবে ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ।