হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। আর্থিক কেলেঙ্কারি ও প্রতারণা রুখতে দৃঢ় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে মাত্র এক মাসের মধ্যে ভারতে প্রায় ৯৯ লক্ষ হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘মেটা’-র মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপে কঠোর হচ্ছে সাইবার নীতি। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত। জানা যাচ্ছে, ৯৯ লক্ষের মধ্যে ১৩.২৭ লক্ষ হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কোনও ‘রিপোর্ট’ (অভিযোগ) হয়নি। তা-ও ওই ফোন নম্বরগুলি নিষিদ্ধ করেছে অ্যাপ সংস্থা।
জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ১ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এক কোটির কাছাকাছি হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিয়ে পদক্ষেপ করেছে সংস্থাটি। কারণ, ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ১ (ডি) এবং ৩এ (৭) বিধি লঙ্ঘিত করেছে ওই নম্বরগুলি। বস্তুত, হোয়াট্সঅ্যাপে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকে। সেখানে ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক (প্রতিক্রিয়া) যেমন নেওয়া হয়, তেমনই নির্দিষ্ট শর্ত উপেক্ষা করলে কড়া পদক্ষেপ করে ‘মেটা’। যে হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরগুলিকে অন্য ব্যবহারকারীরা ‘স্প্যাম’ বলে চিহ্নিত করেছে, যে অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, প্রতারণার (মূলত আর্থিক) অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ‘অভিযান’ চলবে বলে খবর।
কী ভাবে হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন?
মেসেজিং অ্যাপ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ, অচেনা নম্বরে কথোপকথন এড়িয়ে চলাই ভাল। ছদ্মবেশে কারও সঙ্গে মেসেজিং অ্যাপে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া, অযাচিত ভাবে কাউকে গাদাগুচ্ছ মেসেজ পাঠালে কড়া ব্যবস্থার মুখে পড়তে পারেন। আবার দিনের পর দিন প্রচুর হোয়াট্সঅ্যাপে নম্বরে একসঙ্গে মেসেজ পাঠালেও কর্তৃপক্ষের কোপের মুখে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। এ ছাড়া ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, ঘৃণাভাষণ কিংবা ‘খারাপ’ কোনও কথাবার্তায় লিপ্ত থাকলেও হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে পড়তে পারে শাস্তির খাঁড়া।
আরও পড়ুন:
সংশ্লিষ্ট মেসেজিং অ্যাপ কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিচ্ছে, বার্তা পাঠান চেনাজানা মানুষকে। যাঁদের নম্বর আপনার ফোনের কনটাক্ট লিস্টে নেই, তাঁদের যখন তখন মেসেজ পাঠানো নৈব নৈব চ। শুধু তাই নয়, কাউকে হোয়াট্সঅ্যাগ গ্রুপে ‘অ্যাড’ করতে চাইলে, তাঁর অনুমতি নেওয়া জরুরি। যদি কেউ গ্রুপ ‘লেফ্ট’ করেন (ছেড়ে চলে যান), তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন। বার বার কাউকে গ্রুপে ‘অ্যাড’ করতে গিয়ে কোপে পড়তে পারে আপনার হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বর। আর বেশি ‘ফরওয়ার্ডেড মেসেজ’ (যে বার্তা বিভিন্ন ব্যবহারকারী হয়ে আপনার হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে পৌঁছেছে) পাঠানো এড়িয়ে চলুন। তাতে ভুল বা ভুয়ো তথ্য থাকলে নিষিদ্ধ হতে পারে আপনারও হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বর।