এ ভাবেই মন্দিরের বাইরে চপ্পল রেখে পুজো দিতে ঢোকেন কান্তিলাল। ফিরে এসে আর জুতো খুঁজে পাননি। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রতি রবিবার স্থানীয় ভৈরব বাবার মন্দিরে যাওয়া কান্তিলাল নিগমের ছোটবেলার অভ্যাস। রবিবার সেই মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে দেখেন নতুন জুতো জোড়া গায়েব। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে কান্তিলাল পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন। এফআইআরের বয়ানে লিখেছেন, ‘‘সৎ পথে উপার্জন করে জুতো কিনেছিলাম।’’
কানপুরের দবৌলির বাসিন্দা কান্তিলাল চাকরি করেন একটি ইলেক্ট্রনিক সংস্থায়। প্রতি রবিবারই নিয়ম করে কান্তিলাল ভৈরব বাবার মন্দিরে পুজো দিতে যান। কিন্তু এত বছরেও যে অভিজ্ঞতা তাঁর কখনও হয়নি, সেই অভিজ্ঞতা হল রবিবার সকালে। পুজো দিয়ে বেরিয়ে তিনি দেখেন যে নীল জুতো জোড়া পরে মন্দিরে এসেছিলেন, তা হাওয়া! আশপাশ তন্নতন্ন করে খুঁজেও জুতো জোড়া না পেয়ে পুলিশের কাছে যান তিনি। দায়ের হয় এফআইআর। তবে জুতো চুরি নয়, সকলের নজর কেড়েছে কান্তিলালের লেখা এফআইআরের বয়ান।
তিনি সেখানে স্পষ্ট করে লিখেছেন, সৎ পথে উপার্জন করা টাকায় ওই জুতো জোড়া কিনেছিলেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরে সেই জুতো আর খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর সন্দেহ, চুরি গিয়েছে জুতো জোড়া। পুলিশ যেন তদন্ত করে তাঁর জুতো জোড়া ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
কান্তিলাল বলেন, ‘‘আমি দু’দিন আগেই নতুন চপ্পল কিনেছিলাম। নীল রঙের ওই চপ্পল আমার খুবই পছন্দের। আমি প্রতি রবিবারই ভৈরব বাবার মন্দিরে পুজো দিতে আসি। আজ পুজো দিয়ে বেরিয়ে দেখি নতুন জুতো জোড়া নেই। অথচ আশপাশে আরও বহু জুতো পড়েছিল। চোর সে সব কিছুই নেয়নি। কেবল আমার নতুন জুতোই মনে ধরেছিল চোরের। তাই মনে হয়, আমারটাই চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমি এফআইআর করেছি। পুলিশ আমার নতুন জুতো খুঁজে দিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy