—ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থলের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) তালিকায় নাম জুড়েছিল বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের। আজ তার পাশাপাশি জুড়ল ভারতের আরও দু’টি জায়গার নাম। একটি সিকিমের কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান আর অন্যটি চণ্ডীগড়ের ক্যাপিটল কমপ্লেক্স।
আর এর ফলে এই প্রথম একটি দেশেরই ৩ জায়গার নাম যোগ হল বিশ্ব ঐতিহ্য স্থলের তালিকায়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে টুইট করে এ ব্যাপারে ধন্যবাদ জানানো হয় ইউনেস্কোকে। কাঞ্চনজঙ্ঘার এই উদ্যান জাতীয় স্বীকৃতি পায় ১৯৭৭ সালে। শুরুতে প্রায় ৮৫০ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে উদ্যানের সীমা ছিল। পরবর্তী কালে এর আয়তন বেড়ে হয় ১৭৮৪ বর্গ কিলোমিটার যা সিকিমের ২৬ শতাংশ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং আশপাশের শৃঙ্গ এই উদ্যানের নানা জায়গা থেকে দেখা যায় বলে পর্যটনের দিক থেকেও এই উদ্যান গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় উদ্যানে ত্রিশটিরও বেশি হ্রদ রয়েছে। সেগুলি সবই পাহাড়ের উপরের। পরিভাষায় সেগুলিকে সুউচ্চ হ্রদ বলা হয়। ছাঙ্গু লেক, গুরুদোংমার লেক সবই এই উদ্যানে রয়েছে। ২০১১ সালের ভূমিকম্পে উদ্যানের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। অতি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে জাতীয় উদ্যানটি রয়েছে।
তবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মেলায় এখন উচ্ছ্বসিত সিকিমের পরিবেশপ্রেমীরা। এ দিন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীও এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘‘এই ঘোষণায় আমরা গর্বিত। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা ‘গ্রিন সিকিম’ প্রকল্প তৈরি করে পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থলে স্থান পাওয়া সেই চেষ্টারই স্বীকৃতি।’’
ইউনেস্কোর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে অনেক পৌরাণিক গল্প জড়িয়ে রয়েছে। আর এর চারপাশে রয়েছে সব রকম প্রাকৃতিক উপাদান (হ্রদ, গুহা, নদী)। সিকিমের মানুষ এই সবের পুজো করেন। ওই সব গল্প এবং প্রথা বৌদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। বিশেষ এই চরিত্রের জন্য এখানকার উদ্যান বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থলের তালিকায় জায়গা করে নিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy