(বাঁ দিকে) কমল নাথ কংগ্রেসে টানলেন জ্যোতিরাদিত্যের (ডান দিকে) অনুগামী বিধায়ককে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কর্নাটকের ছায়া এ বার মধ্যপ্রদেশে। বিধানসভা ভোটের আগে সে রাজ্যেও ক্ষমতাসীন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত শিবপুরী জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রাকেশকুমার গুপ্ত ‘পদ্ম’ ছেড়ে ‘হাত’ ধরলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের উপস্থিতিতে ২,০০০ কর্মী-সমর্থককে নিয়ে কংগ্রেস শামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন রাকেশ। ‘কৃতকর্মের’ জন্য কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ৪০ বছর ধরে কংগ্রেস করেছি। কিন্তু আদর্শচ্যুত হয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। সেই ভুলের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই জ্যোতিরাদিত্যের আর এক প্রভাবশালী অনুগামী, শিবপুরী জেলারই নেতা বৈজনাথ সিংহ ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ভোপালে গিয়ে কংগ্রেস যোগ দিয়েছিলেন।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্যের সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে কমলের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। চলতি বছরের শেষেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন। মে মাসে তিন বারের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কৈলাস জোশীর পুত্র দীপক যোগ দেন রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলে। তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রাধেলাল বঘেলও দল বদলান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy