বাঁদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকে ক্ষমতা হারানোর পরে এ বার পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট এবং লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার রাতে নিজের বাসভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা-সহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোট ও লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পেশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল। লোকসভা ভোটের আগে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্র-নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামতও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেন। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তা হলে কি সেই সংসার চালানো যায়?’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তা হলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলেছে।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ২০২৪ সালে ভোটের আগেই কেন্দ্র যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে তৎপর, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মঙ্গলবার তা স্পষ্ট হয়েছে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেও এ নিয়ে বিল পেশ হতে পারে। অন্য দিকে, লোকসভা ভোটের আগে শেষ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে পরেও জল্পনা হয়েছে বিজপির অন্দরে। কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে সরিয়ে সংগঠনের কাজে পাঠানো হতে পারে বলেও দলের একটি সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy