স্ত্রীর কপালে টিপ, গলায় মঙ্গলসূত্র না থাকলে স্বামী তাঁর প্রতি অনুরক্ত হবেন কী ভাবে? নিম্ন আদালতে এক দম্পতির মধ্যে মিটমাট করাতে গিয়ে এমনটাই জানালেন বিচারক। বিচারকের এই পর্যবেক্ষণ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
পুণের আইনজীবী অঙ্কুর আর জাহগীরদার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে এই শুনানির কথা লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় ওই দম্পতি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখনই মধ্যস্থতা করে বিষয়টি মিটমাট করানোর চেষ্টা করেছিলেন বিচারক। আর সে সময় তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমি দেখতে পাচ্ছি, আপনি কপালে টিপ, গলায় মঙ্গলসূত্র পরেননি। আপনি বিবাহিত মহিলার মতো আচরণ না করলে আপনার স্বামী কী ভাবে অনুরাগ প্রকাশ করবেন?’’ ওই আইনজীবীর অভিযোগ, নিম্ন আদালতে অনেক বিচারকই এ ধরনের মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ‘‘জেলা আদালতে এ রকম আরও অনেক কিছু হয়ে থাকে, যা কোনও শিক্ষিত যুক্তিবাদী ব্যক্তির বিবেকে ধাক্কা দিতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের সমাজের সহনশীলতা খুব বেশি।’’
আরও পড়ুন:
জাহগীরদার এই প্রসঙ্গে আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। একটি দায়রা আদালতে এক দম্পতির হয়ে মামলা লড়ছিলেন তিনি। সেই শুনানিতেই তাঁর মক্কেলকে ‘নমনীয়তা’-র কথা বুঝিয়েছিলেন বিচারক। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘এক জন মহিলা ভাল রোজগার করলে সব সময়েই নিজের থেকে বেশি রোজগেরে স্বামী খোঁজেন। তাঁর থেকে কম রোজগেরে স্বামীকে গ্রহণ করেন না। কোনও পুরুষ যদি ভাল রোজগার করেন, তা হলে নিজের বাড়ির পরিচারিকাকেও বিয়ে করতে পারেন। দেখুন, পুরুষেরা কতটা নমনীয়। আপনারও নমনীয়তা দেখানো প্রয়োজন। এত অনমনীয় হবেন না।’’