ভূমি বসে যাওয়ার কারণে জোশীমঠে একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ফাইল চিত্র।
ভূমি বসে যাওয়ার কারণে জোশীমঠে একাধিক বাড়ি-হোটেলে ফাটল দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভিটেমাটি ছেড়ে বহু বাসিন্দাই অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। জোশীমঠে ২৯৬টি পরিবারের মোট ৯৯৫ জন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন ভূ-বিজ্ঞানী মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।
সংসদের উচ্চকক্ষে ৩টি প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভূমি বসে যাওয়ার কারণে জোশীমঠে মোট ৮৬৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ফাটলে জেরে জোশীমঠে সমস্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৩৫টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩.৫০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বিনামূল্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হিমালয়ের জনপদগুলিতে নির্মাণ কাজের আগে পরিবেশগত ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে হিমালয়ের এই জনপদে একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা শহরে। ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন জোশীমঠের বহু বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ছাড়াই বিশাল নির্মাণ প্রকল্প, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যটকদের চাপ এবং যানবাহনের চাপে এই বিপর্যয় ঘটেছে।জোশীমঠের পাশাপাশি ফাটল দেখা গিয়েছে কর্ণপ্রয়াগেও। উত্তরাখণ্ডের অন্য দুই শহর মুসৌরি এবং নৈনিতালের বহু বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি।
জোশীমঠ ঘিরে আতঙ্কের মধ্যেই চারধাম যাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। কিন্তু ভূমি বসে যাওয়ার কারণে চারধাম যাত্রা কী ভাবে হবে, এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকে। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। জোশীমঠের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব পড়বে না চারধাম যাত্রায়— এমন আশ্বাসই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ সংশয় প্রকাশ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy