বৃহস্পতিবার লখনউ জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন কাপ্পান। স্বাগত জানান স্ত্রী ও ছেলে। ছবি: পিটিআই।
সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে নিয়ে তাঁরা ‘গর্বিত’। শেষ পর্যন্ত ন্যায় হয়েছে, তাতে তাঁরা খুশি। বৃহস্পতিবার লখনউ জেল থেকে তাঁর মুক্তির পর জানালেন কাপ্পানের স্ত্রী ও সন্তান। বুধবার সাংবাদিককে জামিন দিয়েছে দায়রা আদালত।
কাপ্পানের স্ত্রী রাইহানা পিটিআইকে বলেন, ‘‘আড়াই বছর কম সময় নয়। আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। সহ্য করেছি। কিন্তু আমি খুশি যে, দেরিতে হলেও ন্যায় হয়েছে।’’ রাইহানা এবং কাপ্পানের তিন সন্তান— বছর উনিশের মুজাম্মিল, চোদ্দ বছর বয়সি জিদান এবং ৯ বছরের মেহনাজ। কাপ্পানের মুক্তির জন্য ২৮ মাস ধরে অপেক্ষা করেছেন রাইহানা এবং ৩ সন্তান। এই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছেন কাপ্পানের ৯০ বছরের মা।
রাইহানা জানিয়েছেন, বাবার জন্য গর্বিত তাঁর সন্তানেরা। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিল ৩ সন্তান। ওরা খুব খুশি। নিজের বাবাকে কি ভুলতে পারে? সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান ওদের বাবা, এটা বলতে পেরে ওরা গর্বিত।’’ লখনউয়ের জেলের বাইরে কাপ্পানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁর স্ত্রী ও বড় ছেলে মুজাম্মিল। বাবার মুক্তির পর মুজাম্মিল ধন্যবাদ দিয়েছিলেন তাঁদের, যাঁর গত ২৮ মাস তাঁদের পাশে ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘গত আড়াই বছর আমার বাবা যে এত সহ্য করল, তার কারণ কী? এখন আমরা ওঁর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা খুব খুশি। আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা এই ক’মাস পাশে ছিলেন।’’
২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার হয়েছিলেন কাপ্পান। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে খবর করতে গিয়েছিলেন তিনি। মথুরা টোল প্লাজা থেকে বেআইনি কাজ (প্রতিরোধ) আইনে তাঁকে এবং আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ অভিযোগ করে, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। এই পিএফআই এখন নিষিদ্ধ।
গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানায়, পরের ৬ সপ্তাহ তাঁকে দিল্লিতে থাকতে হবে। কিন্তু জেল থেকে বেরতে পারেননি কাপ্পান। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের মামলা আনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অবশেষে ওই মামলায় বুধবার জামিন পেলেন কাপ্পান। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এখন আরও ৬ সপ্তাহ তাঁকে দিল্লিতেই থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy