সংবাদমাধ্যমের সামনে ঐশী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ক্যাম্পাসে মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় তাদের দোষারোপ করায় এ বার পাল্টা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুললেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ)ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। তাঁর দাবি, মুখোশ পরে তিনি হামলা করতে যাননি। বরং তাঁর উপরই হামলা হয়েছে।
জেএনইউ-তে হামলার ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে গত এক সপ্তাহ ধরে বিতর্ক চলছে। এ নিয়ে শুরু থেকেই সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর দিকে আঙুল তুলে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি এবং ভিডিয়োতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছিল।
কিন্তু শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে সে দিনের ঘটনার জন্য মূলত বামপন্থী সংগঠনগুলিকেই কাঠগড়ায় তোলে দিল্লি পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে হাতে আসা একাধিক ছবি তুলে ধরে আইসা সহ বামপন্থী সংগঠনের ৭ জনকে হামলাকারী হিসাবে চিহ্নিত করে পুলিশ। সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) চিহ্নিত করা হয় দু’জনকে। পেরিয়ার হস্টেলে ভাঙচুর চালানোয় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঐশী ঘোষকে চিহ্নিত করে তারা।
দিল্লি পুলিশ সাংবাদিকদের বিবৃতি দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব অমিত খারের সঙ্গে বৈঠকে চলছিল ঐশীদের। সেখান থেকে বেরিয়েই দিল্লি পুলিশের বৃবিতির তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমে ঐশী বলেন, ‘‘পুলিশ পুলিশের মতো তদন্ত করুক। কিন্তু আমার উপর যে হামলা চালানো হয়েছিল, আমার কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। আমরা কোনও অন্যায় করিনি। কয়েকটা ছবির ভিত্তিতে কিছু প্রমাণ হয় না। তাই দিল্লি পুলিশকে ভয় পাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। আমরা আইনের পথেই চলব এবং আগের মতোই শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব।’’
দিল্লি পুলিশ একপেশে তদন্ত করছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন ঐশী। তিনি বলেন, ‘‘দেশের আইন ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস। জানি সুবিচার পাব। কিন্তু দিল্লি পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে কেন? পুলিশ আমার অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে দায়ের পর্যন্ত করেনি। আমি কোনও ভাঙচুর চালাইনি। মুখোশ পরে ক্যাম্পাসে ঢুকিনি আমি। বরং আমার উপরই হামলা হয়েছে। রক্তমাখা জামাকাপড়গুলো এখনও রয়েছে আমার কাছে।’’
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে হাতে আসা একটি ভিডিয়োয় পেরিয়ার হস্টেলের সামনে একটি ভিডিয়োয় ঐশীকে দেখা যায় বলে গত কয়েক দিন ধরেই দাবি করে আসছিল এবিভিপি। সেই ভিডিয়োর ভিত্তিতেই এ দিন তাঁকে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিশ। তবে ঐশীর দাবি, ছাত্র সংসদের সভানেত্রী হিসাবে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। তাতে প্রমাণিত হয় না যে, তিনিই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy