মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ হেমন্তের। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
দলের তরফে প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী রবিবার (৭ জুলাই) ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয় বার শপথ নিতে চলেছেন তিনি। কিন্তু, বৃহস্পতিবারই জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন মন্ত্রগুপ্তির শপথ পাঠ করলেন ঝাড়কণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে।
বুধবার সকালে রাজ্যপাল আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান হেমন্তকে। তার পরেই জেএমএম নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রবিবার হেমন্তের নেতৃত্বে নতুন জোট সরকার শপথ নেবে।’’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং আরজেডি নেতা সত্যানন্দ ভক্তকে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরে দল ও জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানেই জানানো হয়, বিকেলেই শপথ নেবেন জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্র।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন চম্পই সোরেন। তার পরেই নতুন করে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান হেমন্ত। জেএমএম পরিষদীয় দলের বৈঠকে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী চম্পইকে সরিয়ে হেমন্তকে ফেরানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, হেমন্তের এই উদ্যোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চম্পই। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে ইস্তফা দিতে রাজি হয়ে যান ‘সিংভূমের টাইগার’।
বর্তমানে জেএমএমের শীর্ষপদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু। হেমন্ত দলের কার্যকরী সভাপতি পদে। শিবু-পুত্রকে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে চম্পাইকে নতুন কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে বলে জল্পনা। গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব।
পাঁচ মাস রাঁচীর বীরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরেই শুরু হয়ে রাঁচীর কুর্সিতে তাঁর প্রত্যাবর্তনের তৎপরতা। চম্পই বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত গ্রেফতার হওয়ার আমাদে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছিল দল। তিনি ফিরে এসেছেন। তাই আমার দায়িত্ব শেষ হল।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy