Advertisement
E-Paper

ঝাড়খণ্ডের আস্থা ভোটে অংশ নেবেন ধৃত হেমন্তও, অনুমতি দিল আদালত, কী হতে চলেছে সোমবার?

হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চম্পই সোরেন। তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। সোমবার বিধানসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা।

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০০
Share
Save

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার আস্থা ভোটে অংশ নিতে পারবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জমি ‘দুর্নীতি’তে ধৃত জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন। রাঁচীর আদালত শনিবার তাঁকে এই অনুমতি দিয়েছে। আগামী সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা।

হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন চম্পই সোরেন। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছেন। এই আবহে আগামী সোমবার আস্থা ভোট হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে। হেমন্ত বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। সেখান থেকেই রাঁচীর বিশেষ আদালতে শনিবার তিনি আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট বিধায়ক সংখ্যা ৮১। সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের জাদুসংখ্যা হল ৪১। তার মধ্যে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআই (এমএল) জোটের বিধায়ক সংখ্যা বর্তমানে ৪৩ জন। হেমন্ত যোগ দিলে বিধায়কের সংখ্যা হবে ৪৪।

ঝাড়খণ্ডে চম্পই শপথগ্রহণের পরে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআই (এমএল) জোটের অধিকাংশ বিধায়ককে শুক্রবার রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদে। সেখানে একটি রিসর্টে বিধায়কদের রাখা হয়েছে। আস্থা ভোটের আগে পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই এখন ‘বিধায়ক কেনাবেচা’ করে সরকার বদলের আশঙ্কা করছেন। অতীতে যে অভিযোগ রয়েছে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, আস্থা ভোটের আগেই বিধায়ক ‘কেনাবেচা’ হয়ে যেতে পারে। সেই ‘ভয়’ থেকেই বিধায়কদের ভিন্‌রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার দুপুর থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা তাঁর রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত। তার আগেই রাজভবনে গিয়ে তিনি ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে।

গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন হেমন্ত। শীর্ষ আদালত মামলাটি হাই কোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Jharkhand Hemant Soren ED Land Scam Trust Vote

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}