Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

‘কাশ্মীরের লুটেরাদের খুন করছ না কেন’, জঙ্গিদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্যপালের

মালিকের কথায়, ‘‘উপায় থাকলে সব দুর্নীতিগ্রস্তকে জেলে পুরতাম। যে সব বড় বড় পরিবার কাশ্মীর শাসন করেছে তাদের হাতে অপরিমিত সম্পদ। একটা বাড়ি শ্রীনগরে, আর একটা দুবাইয়ে, আর একটা লন্ডনে। বড় বড় হোটেলে ওই পরিবারগুলির শেয়ার আছে।’’

সত্যপাল মালিক

সত্যপাল মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৪
Share: Save:

কাশ্মীরকে যাঁরা লুট করেছেন তাঁদেরই খুন করা উচিত, এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।

আজ কার্গিলে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘যে সব যুবকেরা বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছে তারা আপন জনকেই খুন করছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বা স্পেশাল পুলিশ অফিসারেরা খুন হচ্ছেন। কেন ওঁদের খুন করছ? যাঁরা কাশ্মীরের সব সম্পদ লুট করেছেন তাঁদের খুন করা উচিত। তাঁদের কাউকে খুন করেছ কি?’’ মালিকের কথায়, ‘‘উপায় থাকলে সব দুর্নীতিগ্রস্তকে জেলে পুরতাম। যে সব বড় বড় পরিবার কাশ্মীর শাসন করেছে তাদের হাতে অপরিমিত সম্পদ। একটা বাড়ি শ্রীনগরে, আর একটা দুবাইয়ে, আর একটা লন্ডনে। বড় বড় হোটেলে ওই পরিবারগুলির শেয়ার আছে।’’

রাজ্যপাল সরাসরি কারও নাম না করলেও তিনি কাদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট। মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই ব্যক্তি দায়িত্বশীল সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। কিন্তু তিনিই জঙ্গিদের বলছেন যে সব নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে হয় তাঁদের খুন করতে। দিল্লিতে এখন নিজের ভাবমূর্তি কী তা আগে ওঁর জানা উচিত। তার পরে না হয় অবৈধ আদালত আর অবৈধ হত্যার অনুমতি দেবেন।’’

বিজেপি সূত্রের মতে, রাজ্যপাল বাড়াবাড়ি করেছেন। কিন্তু আবদুল্লা-মুফতি পরিবারকে কাশ্মীরের জমিতেই কোণঠাসা করার পরিকল্পনা নিয়ে চলছে বিজেপি। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ কাশ্মীরে গেলে ওমর, মেহবুবা মুফতির মতো নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হত। কিন্তু সম্প্রতি কাশ্মীরে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই নেতাদের কারও সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকি কাশ্মীরের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেননি শাহ। কাশ্মীরে আলোচনার জন্য নিযুক্ত বিশেষ দূত দীনেশ্বর শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে যাননি অমিত। বিজেপি সূত্রের মতে, উপত্যকায় স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছেন অমিত। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন করে ওই রাজ্যকে মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE