বহিরাগতদের ভোটাধিকারের প্রতিবাদ ওমর, মেহবুবার। ফাইল চিত্র।
‘ভূমিপুত্র’ না হলেও মিলবে ভোটাধিকার। নির্বাচন কমিশনের বুধবারের এই ঘোষণার পর ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি উপত্যকার মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভও।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। তার আগে বুধবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হৃদেশ কুমার জানান, সেখানে বসবাসকারী ভিন্রাজ্যের মানুষও বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবেন। এর ফলে নয়া ভোটার তালিকায় আরও ২০ লক্ষ নাম যুক্ত হবে।
Is the BJP so insecure about support from genuine voters of J&K that it needs to import temporary voters to win seats? None of these things will help the BJP when the people of J&K are given a chance to exercise their franchise. https://t.co/ZayxjHiaQy
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) August 17, 2022
এই ঘোষণার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি দু’জনেই কমিশনের এই উদ্যোগকে ‘বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত করেছেন। ওমর টুইটারে লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের প্রকৃত ভোটদাতাদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে বিজেপি কি এতটাই সন্দিগ্ধ যে বাইরে থেকে ভোটার আমদানি করতে হচ্ছে?’
GOIs decision to defer polls in J&K preceded by egregious gerrymandering tilting the balance in BJPs favour & now allowing non locals to vote is obviously to influence election results. Real aim is to continue ruling J&K with an iron fist to disempower locals. https://t.co/zHzqaMseG6
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) August 17, 2022
অন্য দিকে, মেহবুবার টুইট-মন্তব্য, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে দীর্ঘ দিন ধরে ভোট স্থগিত রাখার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ফলে চাপে পড়েছে বিজেপি। তাই ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য বহিরাগতদের ভোটাধিকার দিতে চাইছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শেষ বার অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। সেই বিধানসভার মেয়াদ শেষের পর সাড়ে চার বছর পার হয়ে গেলেও ভোট হয়নি সেখানে।
২০১৯-এর অগস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়েছে কেন্দ্র। চলতি বছরের মে মাসে জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। সেখানে ডি-লিমিটেশনের ফলে ছ’টি আসন বেড়েছে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে। একটি সংখ্যালঘু কাশ্মীরে। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশনকে কাজে লাগিয়ে জম্মুতে জয়ের মাধ্যমে গোটা জম্মু-কাশ্মীরে শাসন চালানোর কৌশল নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy