গুলাম নবি আজাদ এবং সনিয়া গাঁধী। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের প্রচার কমিটির দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু বুধবারই সেই দায়িত্ব ছাড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। এর পরেই কার্যত পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী সদ্য প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা ইতিমধ্যেই দলের বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে ধরে নিয়ে কংগ্রেস নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশ্যে গত সাত বছর ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে থাকা মীর গত মাসে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে দেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
প্রায় দু’বছর আগে রাজ্যসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আজাদ-সহ কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। দলের সাংগঠনিক খোলনলচে বদলেরও দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। এর পর রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরলেও তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। যা নিয়ে আজাদ শিবিরে ক্ষোভ রয়েছে বলে কংগ্রেসের অন্দরের খবর। বুধবার আজাদ-ঘনিষ্ঠ রশিদ বলেন, ‘‘দলের কোনও স্তরে আলোচনা ছাড়াই একতরফা ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস এবং নির্বাচনী কমিটিতে রদবদল করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আমাদের ইস্তফা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy