Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Jaish-e-Mahammad

নিহত জইশ নেতা-সহ ৫ জঙ্গি, বড় সাফল্য বাহিনীর

বিজয় কুমার জানান, চলতি মাসে ১১টি সংঘর্ষে ২১ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন পাকিস্তানি।

এখানেই জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেনাবাহিনীর। রবিবার পুলওয়ামায়।

এখানেই জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেনাবাহিনীর। রবিবার পুলওয়ামায়। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২২
Share: Save:

গত রাত থেকে চলা দু’টি অভিযানে কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল বাহিনী। তাদের দাবি, পুলওয়ামা ও বদগামের অভিযানে নিহত জইশ কমান্ডার জ়াহিদ ওয়ানি-সহ পাঁচ জঙ্গি। বাহিনীর কর্তারা জানান, উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গির সংখ্যা ১০০ জনে নামিয়ে আনতে চান তাঁরা।

আজ পুলওয়ামায় এক সাংবাদিক বৈঠক করেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার ও সেনার ভিক্টর ফোর্সের জিওসি প্রশান্ত শ্রীবাস্তব। তাঁরা জানান, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে পুলওয়ামার নাইরা ও বদগামের চারার-ই-শরিফে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। সংঘর্ষে পুলওয়ামায় পাঁচ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে পুলওয়ামার করিমাবাদের বাসিন্দা জ়াহিদ আহমেদ ওয়ানি, পাকিস্তানি জঙ্গি কাফিল ভারি, কাকাপোরার খাদেরমোহ এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদ আহমেদ রেশি ও পুলওয়ামার নাইরা এলাকারই বাসিন্দা ইনায়েত আহমেদ মির। এই ইনায়েতের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল বাকি জঙ্গিরা। বিজয় কুমার জানান, ইনায়েতের বাবা ওই বাড়ির মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করা হবে। অন্য দিকে চারার-ই-শরিফে নিহত হয়েছে লস্কর জঙ্গি বিলাল আহমেদ খান।

বিজয় কুমারের বক্তব্য, ‘‘জ়াহিদ ওয়ানি কাশ্মীরে জইশের এক জন শীর্ষ কমান্ডার হয়ে উঠেছিল। জইশ কমান্ডার সামির দার নিহত হওয়ার পরে সে-ই ছিল কাশ্মীরে জইশের নেতা। জ়াহিদ নিহত হওয়ায় দক্ষিণ কাশ্মীরে জইশের অস্তিত্ব আপাতত সঙ্কটের মুখে পড়ল।’’ তাঁর দাবি, জ়াহিদ একাধিক জঙ্গি হামলায় জড়িত। তার ভাইও বান প্লাজ়ায় জঙ্গি হামলায় যুক্ত থাকার দায়ে আপাতত জেলে রয়েছে। অন্য দিকে ইনায়েত মির ‘হাইব্রিড’ জঙ্গির অন্যতম উদাহরণ বলে দাবি বিজয় কুমারের। তাঁর মতে, ‘‘এমন অনেকেই রয়েছে যারা জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়নি। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। এদেরই হাইব্রিড জঙ্গি বলা হয়। ইনায়েত মিরকে আমরা আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।’’

বিজয় কুমার জানান, চলতি মাসে ১১টি সংঘর্ষে ২১ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন পাকিস্তানি। পুলিশ কর্তার মতে, বিদেশি জঙ্গিদের মৃত্যু বাহিনীর পক্ষে স্বস্তির। শীতের সময়ে পাহাড় থেকে গ্রামে নেমে আসে বিদেশি জঙ্গিরা। গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বাহিনী অভিযান চালায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখন উপত্যকায় বিদেশি জঙ্গি ও স্থানীয় জঙ্গিদের সংখ্যা সমান। পাকিস্তানি ও হাইব্রিড জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।’’

বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রথম কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গির সংখ্যা ২০০ জনের নীচে নেমেছে। চলতি বছরে ওই সংখ্যা ১০০ জনের নীচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Jaish-e-Mahammad Terrorists Jammu and Kashmir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE