n উল্টোরথে পাহুন্ডির সময়ে সেবায়েতরা। পিটিআই
বলভদ্রের রথ তালধ্বজ চলতে শুরু করার সময়ে আকাশ ছিল খটখটে পরিষ্কার। তিনি পুরীর শ্রী মন্দিরের সিংহদ্বারে না-পৌঁছতেই আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টি শুরু হল।
রীতিমাফিক বাহুড়া যাত্রা বা উল্টোরথে জগন্নাথদেব চলতে চলতে কয়েক বার নানা উপলক্ষে থামেন। যেমন গুন্ডিচা মন্দিরের অনতিদূরে মাসুমা মন্দিরে জগন্নাথদেবের পিঠে খাওয়ার রীতি। এর পরে পুরীর রাজার মধ্যস্থতায় স্ত্রী লক্ষ্মীর সঙ্গেও জগন্নাথদেবের দেখা হয় পথিমধ্যে। সেই 'লক্ষ্মীনারায়ণ ভেট' চলার সময়েই রীতিমতো বিদ্যুৎ চমকে বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। প্রবীণ সেবায়েত তথা বড়গ্রাহী রামচন্দ্র দয়িতাপতি বলছিলেন, “উল্টোরথে বৃষ্টি তো স্বাভাবিক। তা ছাড়া, বাজ পড়লেও আমরা নিশ্চিন্ত ছিলাম, প্রভু নির্বিঘ্নেই মন্দিরের সিংহদ্বারে পৌঁছবেন।”
এ দিন বেলা ১২টা কুড়ি মিনিটে বলভদ্রের তালধ্বজ চলতে শুরু করে। সুভদ্রার রথ দর্পদলনের পিছু পিছু জগন্নাথের রথ নন্দিঘোষ বিকেল পাঁচটা কুড়ি মিনিটের মধ্যে পুরীর শ্রী মন্দিরের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। উল্টোরথ উপলক্ষে যথারীতি মন্দির তল্লাট ভক্তশূন্য রাখতে গোটা পুরীতেই কার্ফু জারি রাখা হয়। এখন কয়েক দিন পুরী কার্যত অগম্য। তবে ইতিমধ্যে জগন্নাথদেব রথে করে গুন্ডিচা মন্দিরে যাওয়ার পরে তিনি রথ থেকে নেমে ওই মন্দিরে ঢোকার আগে কয়েক জন কার্ফু অমান্য করে দর্শনের জন্য এসেছিলেন। অতিমারি আইনে তাঁদের গ্রেফতার করে উৎকল পুলিশ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, রথারূঢ় জগন্নাথদর্শনে পুণ্যের ভাগ বেশি। তাই এখনও শ্রী বিগ্রহ মন্দিরে ঢোকা পর্যন্ত পুলিশ রীতিমতো শশব্যস্ত।
আজ, বুধবার রথেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা স্বর্ণালঙ্কারে সোনাবেশ ধারণ করবেন। এই নিয়ে পর পর দু’বছর অতিমারির জন্য এই দৃশ্য স্বচক্ষে দেখা থেকে বঞ্চিত থাকবে ভক্তকুল। আগামী শুক্রবার, ২৩ জুলাই নীলাদ্রি বিজের অনুষ্ঠান সেরে জগন্নাথদেবের মন্দিরে রত্নসিংহাসনে প্রত্যাবর্তন। তার আগে স্ত্রী লক্ষ্মীদেবীর মানভঞ্জন করে তাঁকে ঢুকতে হবে। জগন্নাথদেব মন্দিরে ফিরে গেলেও কোভিড-পরিস্থিতিতে কবে তাঁর দর্শন শুরু হবে, তা উৎকল সরকার ও মন্দির প্রশাসন মিলেই ঠিক করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy