প্রতীকী ছবি।
সোমবার গভীর রাতে বড়সড় আগুন লাগল দিল্লির একটি চারতলা আবাসনে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই শিশু-সহ মোট ছ’জন। আহতের সংখ্যা ১১। একটি কাশ্মীরি পরিবারও তার মধ্যে রয়েছে। পেশায় দর্জি উমর রফিক আহত, তাঁর স্ত্রী সোহা মারা গিয়েছেন। এ দিন উমরের বন্ধুরা দিনভর শ্রীনগরে উমরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত উমরের এক বন্ধু বিমানে শ্রীনগর গিয়ে বাড়ির সকলকে খবর দেন এবং তাঁদের দিল্লি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। বুধবার তাঁরা দিল্লি ফিরবেন।
আগুন লাগে সোমবার রাত দু’টো নাগাদ। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছে, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জ়াকির নগরের ওই আবাসনটিতে ১৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বিদ্যুতের মিটারে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন দমকলের এক আধিকারিক। আগুন লেগেছে টের পেয়ে আবাসনটি থেকে অনেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করতে যান। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করতে হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। দমকলের আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ২০ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দু’জন দমকল কর্মীও আহত হন। মৃত ছ’জনের মধ্যে পাঁচ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। দেহগুলি এমসে রাখা হয়েছে। অন্য দেহটি রয়েছে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে।
এই অগ্নিকাণ্ডে আবাসনের কাছাকাছি রাখা সাতটি গাড়ি এবং ১৯টি মোটরবাইক ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এ দিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কোনও রকম গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আহতদের দেওয়া হবে দু’লক্ষ টাকা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy