এ বার মহাকাশে যৌথ অভিযানে জো বাইডেনের আমেরিকা এবং নরেন্দ্র মোদীর ভারত। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এ বার মহাকাশেও জোট বাঁধছে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন। আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বছর কয়েক আগেই ‘আর্থ অবজ়ারভেশন’ উপগ্রহ ‘নিসার’ বানানোর উদ্যোগে হাত দিয়েছিল। এ বার যৌথ ভাবে মহাকাশ অভিযানেও নামতে চলেছে দুই দেশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের সময়ই মহাকাশ অভিযানে যৌথ পদক্ষেপের লক্ষ্যে ‘আর্টেমিস চুক্তি’তে সই করেছে ভারত। এর ফলে ভবিষ্যতে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যে নাসা আর্টেমিস মিশনের অংশীদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইসরোর। পাশাপাশি, মঙ্গল অভিযানেও হাত মেলাতে পারে ইসরো এবং নাসা। যৌথ উদ্যোগে ২০২৪ সালেই মহাকাশচারী পাঠানো হতে পারে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। প্রসঙ্গত, ভারত ছাড়াও আর্টেমিস চুক্তিতে সাক্ষরকারী সাতটি দেশ রয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আর কয়েক বছরের মধ্যেই ইসরোর সঙ্গে যৌথ ভাবে মঙ্গল, শুক্র ও চন্দ্রাভিযানে নামবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শুধুই একে অন্যের মহাকাশযানে গবেষণার যন্ত্রপাতি পাঠানোর মধ্যেই সেই সব অভিযান সীমাবদ্ধ থাকবে না। সেগুলি আক্ষরিক অর্থেই হবে পুরদস্তুর ‘যৌথ অভিযান’। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (‘এসা’) সঙ্গে এখন যে ধরনের যৌথ মহাকাশ অভিযানে নামে নাসা, ঠিক সেই রকম ভাবেই পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে ইসরোর সঙ্গে।
২০২০ সালে নাসার মঙ্গল অভিযানের (‘মার্স ২০২০ রোভার পারসিভের্যান্স’) মূল কান্ডারি, প্রকল্পের কর্ণধার চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যাডাম স্টেলটজ্নার জানিয়েছিলেন, ‘নিসার’, ‘সিএমবি ভারত’-এর মতো কয়েকটি অভিযানে দারুণ ভাবে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে নাসা ও ইসরোর মধ্যে। যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের যৌথ মহাকাশ অভিযানের সম্ভবনা তৈরি করেছে। বুধবার হোয়াইট হাউসে মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের আগেই প্রস্তুত হয়ে গেল সেই ক্ষেত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy