Isak Munda: A Daily-wage labourer from Odisha turns YouTuber, earning in lakh dgtl
Odisha
Isak Munda: অতিমারিতে দিনমজুরির কাজ হারিয়ে ইউটিউবার, আইজ্যাকের গত ছ’মাসের আয় পাঁচ লাখ টাকা!
দিনমজুরি করে দিন চালানো আইজ্যাক আজ লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২১ ১৬:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
দিনমজুর থেকে বেসরকারি নামী অফিসে কাজ করা উচ্চশিক্ষিত কর্মী, কাউকেই আলাদা করে দেখেনি কোভিড ১৯। দিনমজুর থেকে অফিসকর্মী, কাজ গিয়েছে অনেকেরই।
০২১৮
সংসার চালাতে তাঁরা সকলেই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন। কেউ ফল বিক্রি করা শুরু করেছেন, কেউ ঠেলা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় সব্জি বেচছেন তো কেউ হয়তো নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে বাড়িতেই কিছু কাজ করছেন।
০৩১৮
আইজ্যাক মুণ্ডা এ সবের বাইরে গিয়ে একটু ভিন্ন ধারায় ভেবেছেন। তাই দিনমজুরি করে দিন চালানো আইজ্যাক আজ লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
০৪১৮
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ আইজ্যাকের বাড়ি ওড়িশায়। সে রাজ্যের সম্বলপুর জেলার বাবুপালিতে থাকেন তিনি।
০৫১৮
স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিনমজুরি করে কোনওক্রমে দিন কাটাতেন আইজ্যাক। নামমাত্র উপার্জনে বেশির ভাগ দিন শুধু ভাত খেয়েই কাটাতে হত তাঁদের।
০৬১৮
কিন্তু এ সবই অতিমারির প্রভাব পড়ার আগের কথা। অন্যরা যেখানে করোনায় কাজ হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন, আইজ্যাক উল্টে নিজেকে অন্য ভাবে আবিষ্কার করেছেন।
০৭১৮
দিনমজুরি ছেড়ে এখন তিনি জনপ্রিয় ইউটিউবার। মারাত্মক পরিশ্রমের পর দিনের শেষে সামান্য টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরা আইজ্যাক আজ বাড়িতে বসেই লাখপতি!
০৮১৮
নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলার পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ!
০৯১৮
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন আইজ্যাক। তারপর গরিব পরিবারে যা হয় তাঁর জীবনও সে পথেই এগোচ্ছিল। স্কুলছুট এবং তার পর উপার্জনের জন্য দিনমজুরি করা।
১০১৮
সারা দিন কাজ আর কাজ শেষে বাড়ি ফেরা। এর বাইরে নতুন করে জীবন নিয়ে ভাবার অবকাশ তাঁর ছিল না। বা বলা ভাল হয়তো কখনও ভাবার কথা মনেও হয়নি তাঁর।
১১১৮
২০২০ সালে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিলে কাজ চলে যায় আইজ্যাকের। তার পর দীর্ঘ সময় বাড়িতেই বেকার হয়ে বসেছিলেন। কখনও কোনও কাজের ডাক পেলে যেতেন।
১২১৮
এ রকমই এক দিন এক বন্ধুর ফোনে তিনি ইউটিউব-এ ব্লগিং করতে দেখেন। বিষয়টি তাঁর বেশ ভাল লাগে। হাজার তিনেক টাকা ধার করে একটি স্মার্টফোন কিনে বন্ধুর সাহায্যে তিনি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেন।
১৩১৮
মাটির বাড়ি। থালার এক পাশে পড়ে থাকা ভাত অত্যন্ত কম পরিমাণ সব্জি দিয়ে মেখে খাওয়া তো কখনও তালপাতা দিয়ে মাদুর বানানো। দৈনন্দিন জীবন তিনি তুলে ধরতে শুরু করলেন ইউটিউবে।
১৪১৮
তাঁর আপলোড করা প্রথম ভিডিয়ো ছিল ভাত খাওয়ার ভিডিয়ো। স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে মেঝেতে বসে একসঙ্গে খাচ্ছিলেন তিনি।
১৫১৮
তাঁর প্রথম ভিডিয়ো আপলোড করার তিন মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষ দেখেন। শুধু ওই একটি ভিডিয়ো থেকেই ৩৭ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
১৬১৮
এর পর একে একে আরও ভিডিয়ো করতে শুরু করেন আইজ্যাক। ৩৫ বছরের দিনমজুর আইজ্যাক এখন পেশাদার ইউটিউবার। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘আইজ্যাক মুণ্ডা ইটিং’।
১৭১৮
তাঁর গ্রামের সংস্কৃতি, জীবনযাপন উঠে আসে আইজ্যাকের ভিডিয়োয়। তাঁর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা সাত লাখ ৫২ হাজার ছুঁয়েছে।
১৮১৮
এই প্রতিবেদন লেখার ঘণ্টা খানেক আগে দড়িতে বিস্কুট ঝুলিয়ে খাওয়ার একটি অতি সাধারণ ভিডিয়ো আপলোড করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেটি প্রায় ১৪ হাজার জন দেখে ফেলেছেন। গ্রাম্য জীবন তুলে ধরার জন্য প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছে সেই ভিডিয়োয়।