প্রতীকী ছবি।
অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় যখন দেশের অবস্থা বেসামাল, সে সময়ই কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ছিল কেন্দ্র। ১৩ মে কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার ব্যবধান চার-আট সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছিল। বেশি সংখ্যক মানুষকে অন্তত একটি টিকার আওতায় আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হয়। দেশের টিকাকরণের সিংহভাগই হয়েছে কোভিশিল্ডের মাধ্যমে। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণের ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ড। কিন্তু কো-উইন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সম্প্রতি টিকার জন্য নথিভুক্তিকরণ এবং প্রথম টিকা নেওয়া অনেকটাই কমেছে। তা হলে কি কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধান কমানোর সময় এসেছে? কী বলছে তথ্য।
কো-উইন থেকে পাওয়া যায় রোজ দেশে কত সংখ্যক মানুষকে প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হল। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে প্রথম টিকার সংখ্যা ধারবাহিক ভাবে কমেছে। অগস্টের শেষ দিক থেকেই তা কমতে শুরু করেছিল।
ভারতে এখনও পর্যন্ত ৬৮ কোটি ৪১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ককে কোভিডের প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ৭৩ শতাংশই প্রথম টিকা পেয়েছেন। এই টিকা প্রাপকের সংখ্যাকে কয়েক ভাগে ভাঙলে দেখা যাচ্ছে, অগস্টের ১৮ থেকে সেপ্টেম্বরের ১৩ মধ্যে টিকাকরণের হার ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছিল ৬০ শতাংশ। কিন্তু তার পর থেকেই কমেছে গতি। গত সপ্তাহে যে সংখ্যক প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে তা জুলাইয়ের পর থেকে সবথেকে কম। তা হলে কি দেশে টিকাকরণ পরিস্থিতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে?
সম্প্রতি টিকার জন্য নথিভুক্তিকরণও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’টি টিকার ব্যবধান কমলে আরও বেশি মানুষকে আরও দ্রুত কোভিডের দু’টি টিকা নেওয়া সম্ভব হবে। এই পরিসংখ্যানই প্রশ্ন তুলছে দু’টি টিকার ব্যবধান কমানোর সময় কি এসে গিয়েছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy