Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

পরিদর্শন-যান বদলে যাচ্ছে বিলাসবহুল ট্রেনে

রেলের সব জ়োনে তো বটেই, বিভিন্ন ডিভিশনেও পরিদর্শন-যান আছে। সাধারণ যানগুলি মেরামতির কাজ ছাড়াও দুর্ঘটনা এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়। 

ইনস্পেকশন ক্যারেজ।—ফাইল চিত্র।

ইনস্পেকশন ক্যারেজ।—ফাইল চিত্র।

ফিরোজ ইসলাম
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৩
Share: Save:

ব্রিটিশ আমল থেকে ‘ইনস্পেকশন ক্যারেজ’ বা ব্যয়বহুল যানে রেলকর্তাদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা চলে আসছে। এ বার তাতে রাশ টানছে রেল। তার বদলে ওই যান কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ট্রেন তৈরি করতে চলেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি। রেল সূত্রের খবর, প্রায় ২০০ পরিদর্শন যান ব্যবহার করে দেশে ১০টি বিলাসবহুল ট্রেন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

রেলের সব জ়োনে তো বটেই, বিভিন্ন ডিভিশনেও পরিদর্শন-যান আছে। সাধারণ যানগুলি মেরামতির কাজ ছাড়াও দুর্ঘটনা এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়।

এ ছাড়া দূরবর্তী এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে রেলকর্তারা বাতানুকূল ইনস্পেকশন ক্যারেজ ব্যবহার করেন। ওই ধরনের যানে দু’টি বাতানূকূল শয়নকক্ষ ছাড়াও বসার ঘর, রান্নাঘর এবং শৌচালয় রয়েছে। রান্নার লোকজন এবং ব্যক্তিগত সহকারী ছাড়াও অন্তত পাঁচ দিনের রসদ নিয়ে রওনা হওয়ার ব্যবস্থা থাকে ওই সব গাড়িতে।

ওই সব যানে রেলকর্তারা প্রায়ই কয়েকশো কিলোমিটার দূরের বিভিন্ন ডিভিশনে পরিদর্শনের কাজে যান। জ়োন, ডিভিশনের বড় কর্তারা ছাড়াও এত দিন বিভিন্ন কারণে রেলের মেজো-সেজো কর্তারা ওই গাড়ি ব্যবহার করতেন। তাতে রেলের খরচ বাড়লেও ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা রেওয়াজে সে-ভাবে ছেদ পড়েনি। মাঝেমধ্যে সরকারি নির্দেশে পরিদর্শন-যান ব্যবহারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হত।

২৫ অক্টোবর রেল বোর্ডের তরফে সব জ়োন এবং নিজস্ব উৎপাদক সংস্থাগুলিকে লেখা চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরিদর্শন-যানের যথেচ্ছ ব্যবহার কঠোর ভাবে কাটছাঁট করতে হবে। জেনারেল ম্যানেজার ও ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারদের জন্য ওই যান বরাদ্দ থাকলেও তা একমাত্র রেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনেই ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ গাড়ির সংখ্যা কমানো হচ্ছে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সম্প্রতি পরিদর্শন-যান ব্যবহার ছেড়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের অফিসার সমিতি ইতিমধ্যে রেল বোর্ডকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, পরিদর্শন-যান ব্যবহারে রাশ টানার নির্দেশ আপত্তিকর। নিরাপত্তার কাজকর্ম দেখার জন্য দ্রুত দূরবর্তী স্থানে যেতে ওই গাড়িই ভরসা। তার ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

রেল সূত্রের খবর, বছর দেড়েক আগে সেলুন কার ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে আইআরসিটিসি। সম্প্রতি লখনউ ও দিল্লির মধ্যে আধুনিক সুবিধাযুক্ত বেসরকারি ট্রেনও চালু করেছে তারা। এ বার আয় বাড়াতে তারা পর্যটন-প্রধান রুটগুলিতে প্রায় ২০০ পরিদর্শন-যান ব্যবহার করে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালাতে চাইছে। আয় বাড়াতে পর্যটন স্থল দিয়ে যায়, এমন রুটগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক রেলকর্তা বলেন, ‘‘জরুরি কাজ ছাড়া পরিদর্শন-যানের ব্যবহার কমলে সরকারি টাকার অপচয় কমবে। পর্যটনের কাজে তা ব্যবহৃত হলে রেলের ঘরেও টাকা আসবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy