আতিক-মৃত্যুতে যোগী সরকারকে আক্রমণ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
তাঁর দলের বিধায়ক রাজু পালকে হত্যার অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। আতিকের খুন নিয়ে মুখ খুলে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিএসপি প্রধান মায়াবতী। রবিবার তিনি একাধিক টুইট করে যোগী সরকারের সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘ভয়ঙ্কর এবং শিউরে ওঠা’ এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করলেই সব চেয়ে ভাল হয়। উত্তরপ্রদেশ ক্রমশ ‘এনকাউন্টার প্রদেশ’ হয়ে উঠছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই দলিত নেত্রী।
২০০৫ সালে আতিকের লোকজনের বিরুদ্ধে বিএসপি বিধায়ক রাজুকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই খুনের প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীকে উমেশকে চলতি বছরেই হত্যা করা হয়। উমেশ-হত্যাকে আতিক-হত্যার সঙ্গে তুলনা করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মায়াবতী। জাতীয় রাজনীতিতে বেশ কয়েক মাস ধরেই ‘নিষ্ক্রিয়’ অবস্থায় থাকা মায়াবতীর এ ভাবে সরব হওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে আতিককে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। রাত ১০টার পর হাসপাতালে যাওয়ার সময়েই তাঁর উপর হামলা হয়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে লক্ষ্য করে গুলি চালান সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসা আততায়ীরা। তাঁরা চিৎকার করে স্লোগানও দেন। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য।
ঘটনার সময় হাসপাতালের সামনেই ছিলেন আতিকের আইনজীবী বিজয়। সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বিজয় ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশ ওদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। যেই ওরা হাসপাতাল চত্বরে ঢোকেন, গুলির শব্দ শোনা যায়। বিধায়ক এবং তাঁর ভাইয়ের গায়ে গুলি লাগে। ওখানেই ওঁদের মৃত্যু হয়।’’ এই ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন বিরোধী দল। মুখ খুলেছেন রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy