রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে গিয়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করলেন নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
আমেরিকা সফরে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে গিয়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর যোগাভ্যাসের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিক থেকে শুরু করে সদস্য দেশগুলির কুটনীতিকেরা। যোগ দিবস নিয়ে বলতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘‘যোগাসনের কোনও কপিরাইট নেই, সবাইকে একত্রিত করার এক উপায়। যোগাসনের মাধ্যমেই সুস্থ ভাবে আনন্দের সঙ্গে বেঁচে থাকা যায়। ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হলেও যোগ আসলে আন্তর্জাতিক। বিশ্বব্যাপী ঐক্য গড়ে তুলতে যোগাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিকে প্রণাম করে যোগ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেন মোদী। মূল ভবনের সামনের লনে হলুদ রঙের ছোট মাদুরের উপর একের পর এক আসন করে দেখান তিনি। যোগাভ্যাসে অংশ নেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার সভাপতি সাবা করোসি। অংশ নিয়েছেন সব মিলিয়ে বিশ্বের ১৮০টি দেশের প্রতিনিধিরা। এক সঙ্গে এতগুলি দেশের নাগরিকেরা যোগ দেওয়ায় ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এও স্থান করে নিয়েছে এই কর্মসূচি। সেই সময় মোদীর সঙ্গেই ছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি তথা আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রুচিরা কম্বোজ। প্রসঙ্গত, ন’বছর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা থেকেই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
যোগাভ্যাসের পর মঞ্চে বক্তৃতাও করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে উৎপত্তি হলেও যোগাভ্যাসের কোনও সীমানা নেই। কপিরাইট, পেটেন্ট, রয়্যালটি-যাবতীয় জটিলতার উর্ধ্বে যোগের স্থান। বয়স, লিঙ্গ নির্বিশেষেই যোগে অংশ নেওয়া যায়। আজ যোগাসনের টানেই সারা বিশ্ব একত্রিত হয়েছে। শুধু নিজেকে সুস্থ রাখতেই যোগের প্রয়োজন এমনটা নয়, অন্যের প্রতি যত্ন নিতেও শেখায় যোগাসন। বন্ধুত্বের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তুলতে, সুন্দর-সবুজ পৃথিবী বানাতেও যোগাসনের ভূমিকা রয়েছে।’’ মোদী জানান, যোগের মাধ্যমেই ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর মন্ত্র জোরালো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy